রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে ছেলের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরেক আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। ওই আসামির নাম মুনির হোসেন (২১)।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক আকলিমা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার রাতে ডিবির মিরপুর বিভাগের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, আসামি মনির পল্লবীর ২২ তলা গার্মেন্টসের পেছনে ঈদগাহ মাঠের পাশে অবস্থান করছে। পরে, তারা মনিরকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী রাত আড়াইটার দিকে অস্ত্র উদ্ধার করতে পল্লবী ১২ নম্বর সেক্টরে সাগুফতা হাউজিংয়ের সামনে গেলে আসামি মনিরের দলের সঙ্গে ডিবির গোলাগুলি হয়।
এতে মনির গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকেে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবির দুই সদস্য আহত হয় বলেও জানানো হয়।
নিহত মনির পল্লবীর চাঞ্চল্যকর সাহিনুদ্দীনকে হত্যা মামলার আসামি। হত্যাকাণ্ডে মানিক এবং মনির সরাসরি জড়িত ছিল।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় র্যাব-৪ এর একটি দলের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন এ মামলার আরেক আসামি মানিক।
গত ১৬ মে দিবাগত রাতে পল্লবী থানায় আওয়ালকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা আকলিমা। ওই দিন বিকেলে মিরপুর ১২ নম্বর ডি ব্লকের ৩১ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে স্থানীয় বাসিন্দা সাহিনুদ্দিনকে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আবু তাহের, মো. সুমন, মো. মুরাদ, মো. মনির, মো. শফিক, মো. টিটু, আ. রাজ্জাক, মো. শফিক (২), কামরুল, মো. কিবরিয়া, মো. দিপু, মরন আলী, মো. লিটন, আবুল, সুমন ওরপে ন্যাটা সুমন, কালু, বাবু ও ইয়াবা বাবু।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালকে।