স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর (এলজিইডি) খুলনা বিভাগের অধীনে পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের সাতক্ষীরা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ন চন্দ্র সরকারের তত্ত্ববধানে সাতক্ষীরা সদর ফিংড়ি ইউনিয়নের জোড়দিয়া থেকে শেখপাড়া চলমান এলজিইডির নতুন রাস্তার পার্শ্বে পাইলিং এর পরিবর্তে বাঁশের বেড়া দিয়ে কাজটির বন্ধ করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করেন নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ন চন্দ্র দাস।
এ বিষয়ে গতকাল আজকের সংবাদে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসীন কে বিষয়টি জানানো হলে তিনি আজকের সংবাদকে বলেন, এরকম হওয়ার কথা নয়, তথ্য প্রমানসহ অভিযোগ করেন। সাংবাদিকের কাজ অভিযোগ করা নয় সংবাদ প্রকাশ করা; বিষয়টি অবগত করার পর তিনি ফোন কলটি কেটে দেন। পরবর্তীতে সাতক্ষীরা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আজকের সংবাদকে জানায়, তদন্ত কমিটি আগামী শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পরিমাপ করবে। গোজামিল কাজের জন্য ১৫ শতাংশ হারে ক্ষতিপুরণ অর্থ ঠিকাদারের নিকট থেকে কর্তন করা হবে। ডিপিপি না মানার কারনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স কালো তালিকাভুক্ত করা হবে কিনা এবিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
পাইলিং এর পরিবর্তে বাঁশ দেয়া প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অফিস হিসেব ব্যক্তি নামে পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। যার সত্যতা নির্বাহী প্রকৌশলী স্বীকার করেছেন। তবে এবিষয়ে আইন থাকার কথা তিনি উল্লেখ করেন। আইন থাকলে তার বিরুদ্ধে এবিষয়ে কেন তদন্ত হয়েছিল; তার সদুত্তর দিতে পারেননি নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ন চন্দ্র সরকার। অফিস হিসেব ব্যক্তি নামে পরিচালনা করার ঘটনায় বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তদন্ত করেন বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী।
মাষ্টাররোল খাতের অফিস সহায়ক আহাদুজ্জামানের নামে ব্যাংকে হিসাব নম্বর খুলে কমিশনের টাকা তুলে বিনিময়ে প্রতি চেকে তাকে ১/২ হাজার টাকা কমিশন দিয়ে থাকেন বলে সচেতন নাগরিক ফোরাম অভিযোগ করেন। ল্যাবরেটরী শাখায় আউটসোর্সিং খাতে তার আত্মীয় সুব্রত কুমারকে নিয়োগ দেয়ার ফলে নির্মাণ সামগ্রী সঠিকভাবে পরীক্ষার পরিবর্তে আয়ের একটি উৎস হয়ে দাড়িয়েছে বলে জানা যায়।
দাপ্তরিক যান্ত্রিক মেরামত খাতের আওতায় গাড়ী ও রোলার মেরামত পুর্বের কাজকে নতুন দেখিয়ে অবৈধভাবে বিল উত্তোলন করেন ফোরম্যান হাসানের মাধ্যমে বলে অভিযোগ করেন নাগরিক ফোরাম। সাতক্ষীরার স্থানীয় বসিন্দা হওয়ার সুবাদে মাষ্টাররোলে চাকুরিরত অফিস সহায়ক আলমগীর হোসেনকে দিয়ে ঠিকাদার ম্যানেজের কাজটি করেন। ইতোপুর্বে দুর্নীতির কারনে আলমগীর হোসেন ২ বছর কর্ম বিরতিতে ছিলেন। গত ৮ ডিসেম্বর ২১ সালে তার কর্ম বিরতি প্রত্যাহার করা হয়। আবার নিজের সুবিধার্থে ঠিকানা পরিবর্তন করে আবেদা সুলতানাকে রক্ষাণাবেক্ষণ এলসিএস খাতে চাকুরি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাতক্ষীরা জেলা সচেতন নাগরিক ফোরাম। অভিযোগের সত্যতা থাকলেও নির্বাহী প্রকৌশলী অভিযোগগুলো সত্য নয় বলে জানান।