মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের ঢল নেমেছে। গত কয়েকদিন ধরে ঘাটে মানুষের ভিড় খাকলেও সোমবার তা আরও বেড়েছে।
সকাল সাড়ে ৮টার পর ঘরে ফেরা মানুষের ভিড়ের কারণে পা রাখার ঠাঁই ছিল না। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে যাত্রীরা নদীর স্রোতের মতো বাড়ি ফিয়ে যাচ্ছেন।
ঢাকার গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাট উথলী পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোষ্ট বসানো হলেও যাত্রীদেরকে ঈদে বাড়ি যাওয়া বন্ধ করা যাচ্ছে না। তারা ঢাকা থেকে বিভিন্ন বাইপাস রোর্ডে সিএনজি, অটোবিক্সা, ভ্যান ও মোটরসাইকেলে করে পাটুরিয়া আরিচা ঘাটে আসছেন। স্বাভাবিক সময়ের মতো অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে বাড়ি যাচ্ছেন যাত্রীরা।
এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ও যাত্রী পারাপার বন্ধ করতে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্ত অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি ও হাজার হাজার যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে রজনী গন্ধ্যা, বনলতা, শাপলা শালুকসহ ৪টি ফেরি দিয়ে দুই আড়াই ঘন্টা পর পর তাদেরকে পারাপার করা হচ্ছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রজনীগন্ধ্যা ও সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শাপলা শালুক নামের দুইটি ফেরি পাটুরিয়া ঘাট থেকে কয়েকটি প্রাইভেটকার ও যাত্রীদেরকে নিয়ে দৌলতদিয়া উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ফেরিতে শুধু ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষ আর মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফেরির বিভিন্ন স্থনে দাড়িয়ে যাচ্ছেন তারা।
ঘাটে অরিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলেও যাত্রীরা ফেরিতে গাদাগাদি করে বাড়ি যাচ্ছেন। দূর পাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও ঈদে বাড়ি যাওয়া বন্ধ হচ্ছে না।
আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হলেও লাশবাহী ও অ্যাম্বুলেন্সসহ কিছু ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। তবে দুই আড়াই ঘন্টার পর পর রজনী গন্ধ্যা, বনলতাসহ ছোট ৪টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। যাত্রীরা ঘাটে এসেই ফেরিতে উঠে পড়ছেন। কোনও বাধা নিশেধ মানছেন না তারা। অ্যাম্বুলেন্স ও লাশের গাড়ি ফেরিতে ওঠার আগেই যাত্রীরা ফেরি ওঠে বোঝাই করে রাখছেন। গাড়ি নেওয়ার স্থান টুকু ফেরিতে থাকছে না।
শিবালয় থানার ওসি ফিরোজ কবির জানান, যাত্রীরা কোন বাধা নিষেধ মানছেন না। ঢাকা থেকে নদীর স্রোতের মতো ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা ঘাটে এসে ভিড় করছেন। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে সোমবার সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে বেশি।