মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকার ৫ নাম্বার পন্টুন এলাকায় ডুবে যাওয়া আমানত শাহ ফেরিতে উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। ১৪ টি পণ্যবাহী ট্রাক ও কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে নন্টুন এলাকায় ডুবে যায় ফেরিটি।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ফেরি থেকে কোন আহত বা নিহত ব্যক্তি উদ্ধার হয়নি। তবে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ডুবুরি দল। দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত রয়েছেন।
ডুবে যাওয়া ফেরির যাত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, ফেরিঘাটের ৫ নাম্বার পন্টুনে এসে যাত্রী ও যানবাহন নামানো শুরু হয়। এরই মধ্যে হুট করে পানি উঠতে শুরু করে ফেরিতে। দেড় থেকে দুই মিনিটের মধ্যে ডান দিকে কাঁত হয়ে ডুবে যায় ফেরিটি।
তিনি তার সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেল ফেরিতে রেখে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতড়ে পাড়ে উঠেন। এখন পর্যন্ত তার মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়নি। ফেরিতে কোন বাস বা প্রাইভেটকার না থাকলে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল এবং ১৫/১৬টি পণ্যবাহী ট্রাক ছিলো বলে মন্তব্য করেন।
ফেরির ভারপ্রাপ্ত সারেং মুখলেছুর রহমান বলেন, ঘাটে এসে যানবাহন নামানোর এক পর্যায়ে কাত হয়ে ফেরিটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া স্থানে পানির পরিমান কম। নদীতে তেমন স্রোতও নেই। কিভাবে ফেরিটি ডুবলো বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডুবুরি বলেন, বেশ কয়েকবার ডুবে যাওয়া ফেরিটিতে তিনি অভিযান চালিয়েছেন। একটি ট্রাকের উপরে আরেকটি ট্রাক লেগে থাকায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআইডব্লিউটিসি’র এক ব্যক্তি বলেন, ঘাটে আসা মাত্রই ফেরিটি ডুবতে শুরু করে। এরপর ফেরির র্যাম নামানোর সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা ফেরি থেকে নেমে যায়। এসময় খুব ঝুঁকি নিয়ে দুইটি ট্রাক ফেরি থেকে পাড়ে নামে। এরই মধ্যে কাত হয়ে ডুবে যায় ফেরিটি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে কয়েক’শ পুলিশ নিরাপত্তার কাজে দায়িত্বরত রয়েছে। ডুবে যাওয়া ফেরি থেকে উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। দুর্ঘটনার বিষয়ে পরে জানানো যাবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা এসে গেছে। উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। ডুবে যাওয়া ফেরিটিতে ১৭টি ট্রাক ছিলো। এরমধ্যে দুইটি ট্রাক পাড়ে নামতে পেরেছে।বাকীগুলো ফেরির মধ্যে আছে এখনো। সবশেষ দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত কোন প্রাণহানীর খবর পাওয়া যায়নি।