পাবনায় গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র নিয়ে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের মহড়ার ঘটনায় প্রদর্শিত দুটি শটগানের লাইসেন্স বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন।
পাবনার ডিসি কবীর মাহমুদ জানান, বুধবার বিকালে লাইসেন্স বাতিলের পর বৃহস্পতিবার সকালে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার এসব অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।
সম্প্রতি পাবনার গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেন স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতা।
গণপূর্ত ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা সেসব ছবিসহ খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এ নিয়ে চাঞ্চল্য দেখা দেয়। পুলিশ জব্দ করে আওয়ামী লীগ নেতাদের দুটি আগ্নেয়াস্ত্র।
ডিসি বলেন, “কয়েকজন ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতার অস্ত্র নিয়ে গণপূর্ত ভবনে প্রবেশের ঘটনা তদন্তে অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গ হয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার হওয়ায় লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশও করা হয় প্রতিবেদনে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এ আর খান মামুন ও শেখ আনোয়ার হোসেন লালুর নামে ইস্যু করা শটগানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।”
এ আর খান মামুন পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আর শেখ আনোয়ার হোসেন লালু জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, “পাবনা গণপূর্ত দপ্তরে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রবেশের ঘটনা জানার পরই বিষয়টি তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গণপূর্ত কর্মকর্তারা লিখিত অভিযোগ না করলেও পুলিশ উদ্যোগ নিয়ে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। ঠিকাদারদের প্রদর্শিত অস্ত্রও জব্দ করা হয়।
“সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে অস্ত্র আইনের শর্তভঙ্গের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের প্রমাণ মেলায় প্রদর্শিত অস্ত্রগুলোর লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়।”
জেলা প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করায় জব্দ করা অস্ত্রগুলো সরকারের সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে বলে তিনি জানান।