পটুয়াখালীবাসীর দীর্ঘ প্রতিক্ষিত লেবুখালী এলাকার পায়রা সেতু যান চলাচলের জন্য আগামীকাল (২৪ অক্টোবর) খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পায়রা সেতুর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
জানা গেছে, পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের পায়রা নদীর ওপর ২০১৬ সালে পায়রা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। মূল সেতুর শত ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এ সেতুতে বেশ কিছু নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে নদীর মধ্যে থাকা পিলারে যাতে কোনো নৌযান ধাক্কা দিতে না পারে সে জন্য পিলারের পাশে নিরাপত্তা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া বজ্রপাত কিংবা ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেতুর কোনো ক্ষতি হলো কিনা সেটি মনিটরিং করারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘লনজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন’ সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছে। ১ হাজার ৪’শ ৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯.৭৬ মিটার প্রস্থের এই সেতুটি ক্যাবল দিয়ে দুই পাশে সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে নদীর মাঝখানে একটি মাত্র পিলার ব্যবহার করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সেতুর আদলে নির্মিত দেশের দ্বিতীয় সেতু এটি। যা এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল সিস্টেমে তৈরি করা।
কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগে সেতুটি নির্মাণে প্রায় ১ হাজার ৫’শ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।