প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে দেশ ছেড়ে পলাতক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার ভারতে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য আসেনি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শুনেছি পি কে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে আমাদের কাছে এখনও তার বিষয়ে অফিসিয়াল কিছু জানানো হয়নি।’
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন। ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম। আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পি কে হালদার বাংলাদেশে মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তি। আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে অনেক দিন ধরেই ফেরত চাচ্ছি। সে গ্রেপ্তার হয়েছে। তাকে দেশে ফেরাতে আমাদের যে কাজ, আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদার ভারতে শিবশঙ্কর নাম ধারণ করে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় দেশটির অর্থ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট—ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।শনিবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগের দিন শুক্রবারও অশোকনগরসহ অন্তত দশটি জায়গায় একযোগে অভিযান চালায় ইডি।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও দুদকের অনুরোধে ভারতের অর্থ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এ অভিযান চালায় বলে শনিবার জানান দুর্নীতি দমন কমিশন—দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এদিকে গ্রেপ্তারের দিন শনিবার রাতেই আদালতের মাধ্যমে পিকে হালদারকে রিমান্ডে নিয়েছে ভারতের অর্থ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট—ইডি। তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির যোগসাজশ ইডি খতিয়ে দেখছে বলে সেখানকার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।