রংপুরের পীরগঞ্জের মাঝিপাড়া জেলেপল্লীতে এক তরুণের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হামলার ঘটনায় যেসব হিন্দু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের নতুন ঘরবাড়ি করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। কুমিল্লা ও রংপুরে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা একই সুতোয় গাঁথা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শারদীয় দুর্গাপূজার মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের একটি মন্দিরে কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনীসহ কয়েকটি জেলায় মন্দিরে হামলা হয়। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের মধ্যেই রবিবার রাতে রংপুরের পীরগঞ্জের মাঝিপাড়া জেলেপল্লীতে হামলা হয়। এক তরুণের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হিন্দুদের ২৫টির মতো বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রংপুরের পীরগঞ্জে আরেকটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ২৫টি বাড়িতে আগুন, ৯০টির বেশি বাড়িঘর লুটপাট এবং ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের বাড়িঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে স্বরামন্ত্রী বলেন, টিন-এজের এক ছেলে কাবা শরিফ নিয়ে ফেসবুকে একটা পোস্ট দিয়েছে। ইচ্ছায় দিক বা অনিচ্ছায় অথবা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হোক দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় সবাই কষ্ট পেয়েছে। ঘটনাটি আঁচ করার পরই পুলিশ প্রশাসন ছেলেটি যেখানে থাকতো সেখানে অভিযান চালালেও তাকে পায়নি।
মন্ত্রী আরও বলেন, রাতে ঘটনার সঙ্গে-সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ, এপিবিএন, র্যাব, বিজিবি ঘটনাস্থলে গেছে। আমাদের নিরাপত্তার যতো ধরনের ব্যবস্থা সেটি আমরা গ্রহণ করেছি। কিন্তু এ ঘটনাটি আকস্মিকভাবেই দুস্কৃতকারীরা ঘটিয়ে ফেলেন। বাড়িঘর লুটপাট এবং ভাঙচুরের ঘটনাগুলো পুলিশ যাওয়ার আগেই ঘটানো হয়। হামলার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এই লোকদের আমরা তাৎক্ষণিকভাবেই চিহ্নিত করেছি। এলাকাবাসীর সহায়তায় ৪৫ জনকে আমরা ধরেছি এবং আরও কয়েকজনকে ধরার চেষ্টা করছি।