মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় দেশে ও বিদেশ অটিজমের গুরুত্ব, সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মূলত তার (পুতুল) কাছ থেকেই অটিজম বিষয়ে শিখেছি এবং জেনেছি। সে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত, তখন আমি যেতাম এবং সেই সময় থেকেই এই সম্পর্কে কিছু ধারণা পাই।
শনিবার বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে সকালে গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এ সময় অবহেলা না করে অটিস্টিকদের আপনজন ভেবে তাদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে জাতিসংঘ এই দিবসটি ঘোষণা দিয়েছে দেখে আমরা এটা উদযাপন করছি। উদযাপন শুধু না এর মাধ্যমে সমাজের কাছে আমরা একটা সচেতনতা সৃষ্টি করার সযোগ পাচ্ছি। কাজেই এরা (অটিস্টিক) আমাদের আপনজন এবং তাদেরকে দেখা তাদের যত্ন নেওয়া, এটা সকল সুস্থ মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তিনি বলেন, আমরা ছোট বেলায় শিখেছি কানাকে কানা বলিও না, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না। এটা যেন সকল শিশুরা ছোটবেলা থেকেই শেখে। কাজেই সেই দিকটায় সবার বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।
মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্রচেষ্টায় দেশে-বিদেশে অটিজম নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে বলেও অনুষ্ঠানে জানান তিনি। সায়মা নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি।শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালে নিউরো ডেভমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করি। এই ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশে অটিজমসহ নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রমও আমরা গ্রহণ করি। আমরা এই ট্রাস্টকে ১৪৩ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করেছি। এই ট্রাস্ট থেকে ২০১৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৫ হাজার ৭০১ জনকে ৪ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে।
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের এই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।