মহাকাশে মানুষের বসবাসযোগ্য কৃত্রিম উপগ্রহ ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন’ (আইএসএস) উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৯৮ সালে। তবে এখনো সেখানে কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে নভোচারী হিসেবে পাঠানো হয়নি। অবশেষে দুই দশক পর সেই নজির স্থাপন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। দেশটির নাগরিক জেসিকা ওয়াটকিন্সকে পাঠানো হবে সেখানে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-নাসা এক ঘোষণার মাধ্যমে জানিয়েছে আগামী বছরের এপ্রিলে স্পেসএক্স ক্রু-৪ মিশনের অন্যতম অভিযাত্রী হবেন জেসিকা। ২০১৭ সালে নাসার পরীক্ষায় মহাকাশচারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন জেসিকা। এরপর থেকেই তার প্রশিক্ষণ চলছে। জেসিকার সঙ্গে ওই অভিযাত্রী দলে থাকবেন নাসার জেল লিন্ডগ্রেন ও রবার্ট হাইনস এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সামান্থা ক্রিস্টোফোরেট্টি।
এলন মাস্কের বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন মহাকাশযান তাদের পৌঁছে দেবে স্পেস স্টেশনে। এ নিয়ে পর্যায়ক্রমে চারবার মহাকাশে যাত্রীদের পৌঁছে দেবে যানটি। ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটে করে স্পেসএক্সের ক্যাপসুলে চেপে রওনা দেবেন চারজন। ছয় মাসের জন্য মহাকাশই হবে তাদের ঠিকানা।
সিএনএন জানায়, ক্যালিফর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিওলজিক্যাল ও এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স নিয়ে স্নাতক হন জেসিকা। তার পরে ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিওলজিতে স্নাতকোত্তর। নাসার সঙ্গে তার যোগাযোগ দীর্ঘদিনের। এক সময়ে ইনটার্ন হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন নাসায়। পরে নাসার এমস রিসার্চ সেন্টার এবং জেট প্রোপালসন ল্যাবে কাজ করেছেন তিনি। এ ছাড়া নাসার মঙ্গলযান কিউরিওসিটি’র অভিযানেও যুক্ত ছিলেন জেসিকা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জিওলজি পড়তে গিয়েই ভিন্ন গ্রহের গঠন নিয়ে গবেষণার উৎসাহ জাগে। বিশেষ করে মঙ্গল নিয়ে। ওটা আমার প্যাশন।’