প্রস্তাবিত বাজেট অবাস্তবায়নযোগ্য, কাল্পনিক ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার সকালে রাজধানী গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘সরকার বাজেটের নামে জনগণের সাথে ভাঁওতাবাজি ও প্রতারণা করেছে।’
করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘বাজেটে করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়নি।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘অতিমারিকালে এই বাজেট কাগুজে ছাড়া আর কিছুই নয়।’ প্রস্তাবিত বাজেট দুর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার বাজেট বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপন করা হয়। এর আগে মন্ত্রীপরিষদে এটি পাশ হয়। মোট ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নিয়ে নতুন বছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) হার্ট ও কিডনিতে সমস্যা আছে।’
তিনি বলেন, ‘ম্যাডামকে গতকাল বিশেষ একটি কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। কারণ ম্যাডাম যে কেবিনে ছিলেন, সেখানে তার কোভিড-পরবর্তী কিছু প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। ম্যাডামের রক্তে কিছুটা সংক্রমণ হয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে ডাক্তারদের বিচক্ষণতা ও আন্তরিকতায় তারা সংক্রমণ দূর করতে সক্ষম হয়েছেন। যেহেতু ওখানে (সিসিইউ) সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি, আবারও হতে পারে, সে কারণে তাঁকে এখন বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ৬ দিন পর ৩ মে তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে জরুরিভাবে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।