বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) সতর্ক করে বলেছে, গত মাসে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার সংঘাতের পর দখলকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলের প্রায় দু’লাখ লোকের স্বাস্থ্য সহায়তা প্রয়োজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পূর্বাঞ্চলীয় ভূমধ্যসাগরীয় আঞ্চলিক কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বুধবার এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, পশ্চিম তীরসহ দখলকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলে প্রায় দুই লাখ লোকের স্বাস্থ্য সহায়তা প্রয়োজন। আর তা সরবরাহে ডব্লিওএইচও তার তৎপরতা জোরদার করেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পরিস্থিতি ভয়ংকর। তাই সংস্থাটি প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা সরবরাহ ও এ কাজে যুক্ত লোকজনকে গাজায় অবাধে ঢুকতে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
গতমাসে ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজায় বিমান হামলা চালায়। গাজা থেকে হামাস পাল্টা রকেট হামলা চালায়। উভয় পক্ষে ১১ দিনের সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয়। এ সময় ইসরাইলী হামলায় ৬৬ শিশুসহ ২৫৪ ফিলিস্তিনী নিহত হয়। অপরপক্ষে হামাসের ছোঁড়া রকেটে ১২ ইসরাইলী প্রাণ হারায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সংঘর্ষের কারনে ৭৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনী আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত এবং প্রায় ৩০টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে ইসরাইল এর স্থল ও আকাশ সীমান্ত অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ঘনবসতিপূর্ণ এ এলাকায় প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনীর বসবাস। বহির্বিশ্বের সাথে গাজার যোগাযোগের একমাত্র পথ রাফা ক্রসিং যা মিশর সুরক্ষা দিয়ে আসছে। এখানে ইসরাইলের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।
সংস্থার রিক পিপারকর্ণ বলেন, ফিলিস্তিনীদের জীবন মান খারাপের দিকে যাচ্ছে। সহিসংতার কারণে অধিকাংশ লোকেরই জরুরি সহয়তা প্রয়োজন। এছাড়া করোনার মতো অন্যান্য স্বাস্থ্য হুমকিও রয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, দখলকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলে ৩১ মে পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছে ৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৯১ জন। মারা গেছে ৩ হাজার ৭ ৬৫ জন। সম্প্রতি গাজায় করোনা শনাক্তের হার বেড়ে গেছে।
ফিলিস্তিন অঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে সংস্থাটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তার আবেদন জানালেও পাওয়া গেছে মাত্র ২৩ লাখ মার্কিন ডলার।