অংকের মান,সময়ের ফাঁদ,পণ্যের চমক সব কিছু ফিঁকে হয়ে যায় তোমার ছলছল চোখের জলে। তুমি চলে যাও,ব্যস্ত সকালে, পণ্যের দামে জীবন সাজাতে।সে মায়া মুখের ফেলে রেখে যাও হৃদয়ে আমার ।
যদিও আমার আয়না হৃদয়,সারা অভিমুখ ধরে চিত্র তোমার। অন্তর ধরে তার অপুর্ব রুপ,চির জাগরুক।
সারাজীবনের তৃপ্তি মনের, অক্ষয় সুখ।
ছোঁয়া পড়ে থাকে পিছে। বিচ্ছেদ আনে প্রয়োজন।
আচমকা সব কিছু তুচ্ছ করে হাত ছেড়ে দেয় প্রিয় হাত।
কঠিন শীতের ওমে সেরা কম্বল,একটানে ফেলে দেয় ক্ষোভ। ভুলে যাওয়া এতোটা সহজ!
তবু, কোনো এক সন্ধ্যায়, পাখি ডানা ঝাপটায়, ঘর খুঁজে মুক্তির চোখ।
নিপাট চুল, কলারের ভাজে চেপে থাকা চিকন কালো টাই, সাদা সার্ট এর উপর নেভী ব্লু স্যুট চাপিয়ে তুমি হঠাৎ সাহেব। আমি মুগ্ধ তাকিয়ে থাকি।ধোয়া, ভেজা ত্বক হতে ঠিকরে আসে শুভ্রতা। আমি প্রেমে পড়ে যাই, চমকের নতুন খোলসের। সারারাতের নিরীহ মানুষ, হৃদয়ের কোনা ঘুপচির হঠাৎ প্রেমিক বা নেহাৎ বাজারের থলে ধরা এলোমেলো চুল,ঘামে ভেজা সাধারণ বাসের গৃহী পুরুষ। সেকি অবাঞ্চিত?
মুহুর্ত রেখে যায় অনন্ত ছাপ।
তুচ্ছ জীবন, আয়ু বয়ে যাওয়া অনুক্ষণ।
আমার পীড়ার গান,মথেছে তোমার প্রাণ,
অনন্ত এ সুখ প্রিয় ,রাখি এই দান।
আর সব সাধারণ, জগতের আয়োজন,
জীবনের পথ বেয়ে চলা।
আজ নিরাময়ে সিদ্ধ হোক, তোমার ও ভেজা চোখ
হৃদয় রুধীরে ঢেলে উপশম, অমৃত ত্রিফলা ।