ফেনীর সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের মাইজবাড়িয়া গ্রামের আলি আহমদ ভূঞা বাড়ির প্রবাসী শহিদুল ইসলামের ১১ বছর বয়সি মেয়ে তানিশা ইসলামকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিবার লোকজন বাড়ির ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। তানিশা ফেনীর মহিউচ্চুন্নাহ মাদ্রাসার ষষ্ট শ্রেণির ছাত্রী। তারা বাবা শহিদুল ইসলাম সৌদি আরব প্রবাসী।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কিশোরীর চাচাতো ভাই (বাবার বড় ভাইয়ের ছেলে) আকতার হোসেন নিশানকে আটক করেছে। লাশের পাশ থেকে একজোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেই স্যানেডল কার এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ বলছে, তদন্ত করছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, স্কুলছাত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে গলাকেটে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ কিশোরীর ভাই ইতেকাফে, মা ও বোন পাশের বাসায় থাকায় কিশোরী তানিশা ঘরে একা ছিল।
পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী পিপিএম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই-সিআইডি কাজ করছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে।’