মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ফেরিডুবির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও কেন ফেরিটি চলছিলো, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। একইসঙ্গে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। এদিকে সঠিক কারণ চিহ্নিত ও এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয় নির্ধারণে একটি সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম। বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান, রনজিত কুমার রায়, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর ও এস এম শাহজাদা এবং নৌ-পরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় গত ২৭ অক্টোবর সাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে রো রো শাহ আমানত ফেরি ডুবে যাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান কমিটির সদস্য এস এম শাহজাদা। জবাবে মন্ত্রণালয়ের সচিব ঘটনার বর্ণনা দেন এবং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানান। তদন্ত কমিটি ৭দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিলে বিস্তারিত জানানো হবে বলে তিনি জনান।
সচিবের বক্তব্য সন্তুষ্ট করতে পারেনি সংসদীয় কমিটির সদস্যদের। এরপর আলোচনা শেষে দুর্ঘটনায় কবলিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কমিটির সদস্য শাজাহান খানকে আহবায়ক এবং রনজিত কুমার রায়, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল ও মো. আছলাম হোসেন সওদাগরকে সদস্য করে একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য এস এম শাহজাদা জানান, ঘাটে এসে ফেরি ডুবির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায় নিতে হবে। মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি ও সংসদীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা আলোচনা শেষে কমিটি সুপারিশ চূড়ান্ত করবে। এছাড়া বৈঠকে সকল সমুদ্রবন্দরের জন্য একটি একক আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে বৈঠকে ‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১’ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় সংযোজন, সংশোধন ও পরিমার্জনের পর বিলটি জাতীয় সংসদে পাশের জন্য প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশের সকল নদ-নদী পর্যায়ক্রমে দখলমুক্ত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে একটি প্রেজেন্টেশন পরবর্তী উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।