নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলায় জড়িতরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত হয়ে হামলায় অংশগ্রহণ করেন বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মন্দিরের লুন্ঠিত পূজার সামগ্রীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের কাছে এমনটাই স্বীকার করেছে তারা।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলা ও লুটপাতের ঘটনায় রবিবার রাতে রাজধানীর ডেমরা, নারায়ণগঞ্জের বন্দর এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লায় ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য প্রচার করে জনসাধারণের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা চালায়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ অক্টোবর নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন চৌমুহনী এলাকায় কিছু দুষ্কৃতিকারী শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দিরে হামলা ও লুটতরাজ চালায়। এ সংক্রান্তের কিছু ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ঘটনায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। বর্ণিত ঘটনার হামলা ও লুটকারীদের শনাক্ত এবং গ্রেফতার করতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ায়।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব জানতে পারে, গ্রেফতারকৃত রুবেল, রাব্বী এবং রিপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উস্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে প্রত্যক্ষভাবে হামলায় অংশগ্রহণ করে। হামলা পরবর্তী গ্রেফতারকৃত রুরেল, রাব্বী এবং রিপন ২টি বস্তায় করে মন্দিরের বিভিন্ন পিতলের পূজার সামগ্রীসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। তারা গ্রেফতারকৃত সোহাগের সহযোগিতায় ধাতব আইটেমসমূহ রুপান্তর করে বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল।