বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের লাইব্রেরি নতুন প্রজন্মকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রকৃত ইতিহাস এবং দেশ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এখন আর কেউ বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে পারবে না। কারণ নতুন প্রজন্ম ইতিহাস সম্পর্কে অনেক সচেতন।
শনিবার বিকালে ধানমন্ডি ৩২-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টে ‘মুজিব পাঠাগার’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতিহাস থেকে বারবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে এবং এভাবে জাতি ১৯৭৫ সালের পরের প্রকৃত ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এখন তা আর পারবে না কারণ নতুন প্রজন্ম ইতিহাস সম্পর্কে অনেক সচেতন।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা যৌথভাবে লাইব্রেরির উদ্বোধন করেন। পরে, প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এসময় বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের লাইব্রেরি নতুন প্রজন্মকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রকৃত ইতিহাস এবং দেশ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। স্বাধীনতা বিরোধীরা ১৯৭৫ সালের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতির পিতার খুনিদের বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করে খুনিদের বিচারের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর একমাত্র লক্ষ্য জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলে মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।’