নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাথা। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র পৃথিবী নিয়ে ভাবতেন। তিনি স্বাধীনতাকামী এবং অধিকার হারা মানুষের কথা ভাবতেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ শুক্রবার কক্সবাজার জেলার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে পদক্ষেপ বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বিশ্বজুড়ে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ উৎসব’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনকে পছন্দ করে বলেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সারা দুনিয়ার রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বাণী দিয়েছেন। আঞ্চলিক নেতারা জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসেছেন।
‘পদক্ষেপ বাংলাদেশ’ এর সভাপতি বাদল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আসলাম সানী, পদক্ষেপ বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুন নিসা, কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি তোফায়েল আহমেদ এবং কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধীরা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে দিন দিন দূরে ঠেলে দিয়েছে। ২১ বছর দেশের উন্নয়নে তারা কোন কাজ করেনি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা বঙ্গবন্ধুকে কিভাবে খাটো করা যায়, তার পরিবারের ওপর কালিমা লেপন করা যায় সে চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা সেটি পারেনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গী ছিল সুদুরপ্রসারী। তিনি সোনার বাংলা সাজানোর কর্মসূচি দিয়েছিলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ওপর দাড়িয়ে আছে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ, মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র নির্মাণসহ অনেক উন্নয়নমূলক কাজ প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতায় করতে পারছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে বিশ্বের অনেক নেতাকে জাতিসংঘ অধিবেশনে ভার্চুয়ালী উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে জাতিসংঘ অধিবেশনে শারীরিকভাবে উপস্থিতির আমন্ত্রণ আমাদের গর্বিত করেছে।
উদ্বোধনী পর্বে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, উৎসব শোভাযাত্রা, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বর্ণিল বেলুন ওড়ানো, ‘বঙ্গবন্ধু বইমেলা’ ও ‘বাঙ্গালা থেকে বাংলাদেশ’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।