ঘূর্ণিঝড় ‘যাওয়াদ’র প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে ফেরার পথে ফিশিং জাহাজের ধাক্কায় ২১ জেলে নিয়ে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। এতে ৮জেলেকে পার্শ্ববর্তী অন্য একটি ট্রলার জীবিত উদ্ধার করলেও এখনো ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১৩ জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
রবিবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়ন থেকে ৪৭ কিলোমিটার দক্ষিণে গভীর সাগরে এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। তবে সোমবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ জেলেদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার চরফ্যাশন উপজেলার চরকচ্ছপিয়া ঘাট থেকে আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের উত্তরশিবা গ্রামের কামাল খন্দকারের মালিকানাধীন ‘মা শামসুন্নাহার’ নামের মাছ ধরার ট্রলারটি নিয়ে একই উপজেলার দুলারহাট থানার নুরাবাদ ইউনিয়নের বাচ্চু মাঝিসহ ২১জন জেলে সাগরে মাছ শিকারে যায়। পরে ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেয়ে তারা গভীর সাগর থেকে ফেরার পথে রবিবার রাতে গভীর সাগরে একটি স্টিল বডির ফিশিং জাহাজ ট্রলারটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ২১ জেলেসহ ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে পাশ্ববর্তী পাথরঘাটার একটি মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা ৮ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করলেও বাকী ১৩ জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নে।
আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল এমরান প্রিন্স ট্রলার ডুবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলেন, চট্টগ্রামের একটি ফিশিং বোর্ডের ধাক্কায় কামাল খন্দকারের মাছ ধরার ট্রলারটি ডুবে যায়। ওই ট্রলারে থাকা ২১ জেলেই তাঁর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল নোমান জানান, সাগরে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির খবর শুনেছি। ট্রলারে থাকা নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কেস্টগার্ড কাজ করছে বলেও জানান তিনি।