ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বদলি আদর্শের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বহাল তবিয়তে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের শহর রেঞ্জ কর্মকর্তা ফরেস্টার আতা এলাহী। শুধু তাই নয় পাহাড় থেকে অবৈধভাবে কেটে আনা মাটি ও অবৈধ কাঠ বোঝাই ট্রাক ধরে মোটা অঙ্কের ঘুষ আদায় করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার বিশেষ আশীর্বাদ পুষ্ট হওয়ায় বদলি আদেশকে তিনি থোড়াই কেয়ার করছেন।
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ২০০৪ এর বদলির নীতিমালা মোতাবেক সার্কেলে ৫ বছর ও ২ বছর পর বদলে যোগ্য আইন করা হলেও ফরেস্টার এলাহীর ক্ষেত্রে তা উপেক্ষিত। কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের রয়েছেন তিনি অর্ধযুগেরও বেশি। সূত্রমতে গত ৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক কার্যালয় থেকে তাকে লামা বন বিভাগে বদলী নিয়োগ করা হয়।
পরবর্তীতে প্রায় ২ মাস পর গত ২ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তাকে রিলিজ করার চিঠি দেন। এই চিঠি প্রাপ্তির পরও তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর না করে উপরি মহলে বদলি বাতিলের দেনদরবারে ব্যস্ত আছেন। কারণ ইতোপূর্বেও তার ২/১ বার বদলি হলেও তিনি উচ্চ পর্যায়ে তদবির করে তা ঠেকিয়ে বহাল তবিয়তে অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে এই বন বিভাগের বিভিন্ন রেঞ্জে কর্মরত থেকে পাহাড় কাটা, বনের জমি দখল, বিক্রি, গাছ বিক্রি, গাছ ও ফার্নিচার পাচারের গাড়ী জব্দ করে টাকা আদায়, মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায় করে নামমাত্র টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে সিংহভাগ টাকা আত্মসাৎ, ভূয়া চালান তৈরী, রাজস্ব ও বিভিন্ন প্রকল্পের হিসাবে বিভিন্ন জালিয়াতিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছেন এই আতা এলাহী।
এছাড়াও ডিএফও’র আস্থাভাজন হবার কারনে লোভনীয় রেঞ্জ বিটে পোস্টিংয়ের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে আরো প্রকাশ, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন কক্সবাজার শহর রেঞ্জ।অতিলোভনীয় ও অবৈধ আয়ের উৎস ভুমি খ্যাত এই শহর রেঞ্জেই টিপি,জোত পারমিট, পিওআর,সিওআর মামলা নিষ্পত্তিসহ রাজস্ব আয় সংক্রান্ত দাপ্তরিক কাজগুলো সম্পাদন হয়ে আসছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার আস্থাভাজন ও অবৈধ আয় বর্ধনে বিশেষ ভুমিকা রাখায় ওই শহর রেঞ্জ কর্মকর্তার কদরও আলাদাভাবে বেশী। ডিএফওর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করা ওই রেঞ্জ কর্মকর্তাকে অন্যান্য বনকর্মীরা একটু খাতির যত্নও বেশি করতে হচ্ছে। তাকে খুশি করা না গেলে কৌশলে ফাঁদে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে।
বর্তমান শহর রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহী বাঁকখালী রেঞ্জে কর্মরত থাকাকালীন সংরক্ষিত ও রক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংস করে সরকারী কোটি কোটি টাকার গাছ পাচারে সহযোগীতা করেছে। উল্লেখ্য ডিএফও’র রিলিজ আদেশ পাবার পরও তিনি প্রতিরাতে টহল করে মাটি বোঝাই, চোরাই কাঠ বোঝাই ট্রাক ধরে টাকা আদায় করছেন। মাটির গাড়ীপ্রতি ৫হাজার আর চোরাই কাঠ ভর্তি ট্রাক থেকে ৫০হাজার থেকে ২লক্ষ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট মহলে অভিযোগ রয়েছে।