রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘গার্ড অব অনার’ শেষে বনানীর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মুক্তিযোদ্ধা ও কিংবদন্তি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী। এর মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটলো ঢাকাই সিনেমার ‘মিষ্টি মেয়ে’ নামের বর্ণিল এক অধ্যায়ের। ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রি হারালো কিংবদন্তি আরেক অভিভাবক।
শনিবার বাদ জোহর কবরীকে দাফন করা হয় বনানীর কবরস্থানে, যেখানে বাংলা চলচ্চিত্রের নায়করাজ হিসেবে পরিচিত রাজ্জাকও শায়িত আছেন।
টানা ১২ দিন করোনার সঙ্গে লড়াই করে শুক্রবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে মারা যান কবরী। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
বাংলা চলচ্চিত্রে কবরী এক বিস্ময় আর সৌন্দর্যের প্রতীক। অভিনয়ের মাধ্যমে রূপালি সুতোয় কেড়েছেন দর্শকের মুগ্ধ দৃষ্টি। ‘সুতরাং’ ছবিতে ১৪ বছর বয়সে মিনা পাল নামের এক কিশোরী তার ভুবন ভোলানো হাসির যে অচ্ছেদ্য মায়ায় বেঁধেছিলেন এ দেশের সিনেমা দর্শকদের; তার ঘোরে বাঙালি মুগ্ধ হয়ে থাকে পরবর্তী ৫৬ বছর।
সুভাষ দত্ত পরিচালিত ও অভিনীত ‘সুতরাং’ ছবির মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে নায়িকা কবরীর আবির্ভাব, মিনা পাল নাম বদলে প্রথম ছবিতেই কবরী হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ও বাঙালির হৃদয় জয়ের যাত্রা শুরু।১৯৬৪ সালের ২৪ এপ্রিল মুক্তি পায় ছবিটি।