বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে চষে বেড়াচ্ছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী। ব্যক্তিগত উদ্যাগে চারহাজর পরিবারের মাঝে দিলেন খাদ্য সামগ্রী, প্রতিটি ইউনিয়নে ও পৌরসভা মিলে ভাগকরে দিলেন দশজন করে সেচ্ছসেবক ইউনিট,  বন্যাকবলিত মাঠে আছেন চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের সেচ্ছসেবক ইউনিট দল, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে এযাবৎকালে বন্যাকবলিত চারহাজার পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী।

কক্সবাজারের চকরিয়ার ভারী বৃষ্টির কারণে, ১৮ টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভা  বন্যা কবলিত,  এক নাগরে টানা বৃষ্টি মাতামুহুরি নদী বয়ে পাহাড়ি জমাট থাকা উজানি পানি প্রবেশ করে চকরিয়া উপজেলা পৌরসভার দুলক্ষ মানুষ পানি-বন্দি।

ধীরে ধীরে প্লাবিত হয় পুরো ১৮ টা ইউনিয়ন ও চকরিয়া পৌর শহর, ঘরবন্দী প্রায় দু’লক্ষধিক মানুষ, হতাশার সীমা নেই, নেই স্বাভাবিক  জীবন যাপন, বন্যাকবলিত মানুষের দৃশ্য ভয়াবহ ও ভয়ংকর  দৃশ্যের অবতারণা। এদিকে সরকারের কঠোর লকডাউন ঘোষণা পর, অধিকাংশ পবিরার অর্থের অভাবে খাদ্যের সমস্যর মধ্যে জর্জরিত, নেই দৈনিক কোন রোজ-রোজগারের সুব্যবস্থা,  অধিক পরিবার পানি বন্দির  আটক দেখে, বন্যাকবলিত এলাকা কয়েক দফায় দফায় পরিদর্শন করেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী, বন্যাকবলিত মানুষের আর্তনাত দেখে তাৎক্ষনিক শুকনো খাবার, এর পর রান্না করা বিরানির প্যাকেট দুই হাজার, ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করেন।

উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী সাজ্জাদ হোসেন  জানান – ধাপে ধাপে বন্যাকবলিত চারহাজার পরিবারের মাঝে এ সহায়তা প্রদান করেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী। দৈনিক আজকের সংবাদকে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী, বলেন, আমি সরে জমিনে গিয়ে দেখি অধিক এলাকার মানুষ  পানি বন্দি, চকরিয়া উপজেলা পৌরশহরে অনেক  পয়েন্ট বেড়িবাঁধ ভেঙে অনেক  এলাকা প্লাবিত হয়েছেন, ইতিমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে ১০ জন করে সেচ্ছসেবকের ইউনিটের  ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

এবং উপকূলীয় অঞ্চল সহ-সব সুইচ গেইট সরে জমিনে গিয়ে খুলে দিয়েছি, উপজেলা ও পৌরসভা
পানিবন্দি চারহাজার বানবাসীর পরিবারকে শুকনো খাবার, বিরানি প্যাকেট এবং দশ কেজি করে চাউল বিতরণ করেছি। উক্ত পরিদর্শন এবং খাদ্য  সহায়তা প্রদান করার সময়  উপস্থিত ছিলেন, চকরিয়া উপজেলা  আওয়ামীলীগের সদস্য, আসন্ন হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিমল বডুয়া, উপজেলা সেচ্ছসেবক লীগের সভাপতি পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয়  কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেন, বন্যাকবলিত সেচ্ছসেবক দলের টিম লিডার উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী পৌর-ছাত্রলীগের নেতা সাজ্জাদ হোসেন, বেলাল উদ্দিন,  উপজেলা  ছাত্রলীগের নেতা হৃদয় মোহাম্মদ সায়মন, কাকরা শ্রমিকলীগের সাধারণ সস্পাদক মিরাজ উদ্দিন মিজবাহ, সহ উপজেলা চেয়ারম্যানের নবগঠিত দৃর্যোগ মোকাবেলার সেচ্ছসেবকরা উপস্থিত ছিলেন।