ভয়াবহ লঞ্চ দুর্ঘটনায় নতুন করে আর কোন মরদেহ উদ্ধার হয়নি। গতকাল শনিবার সার্কিট হাউস মাঠে ৩০ জনের জানাযা শেষে ২১ কবরে ২৩ জনকে দাফন করা হয়। জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান সদর উপজেলার পোটকাখালী সরকারি গণকবরে উপস্থিত থেকে দাফন কার্য সম্পন্ন করেন। ১৪ জনের মরদেহ পারিবারিক ভাবে দাফন করা হয়।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, স্মরণ কালের ভয়াবহ লঞ্চ অগ্নি দুর্ঘটনা তদন্তে বিআইডব্লিউটিএ গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা আজ বরগুনা সফর করবেন। এ কমিটির প্রধান তোফায়েল ইসলামসহ কমিটির সদস্যরা বেলা ১১ টায় স্থানীয় সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে মতবিনিময় করবেন। কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব পালন কারী কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ২৫জনের তালিকা করা হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, সুগন্ধা নদীতে ঘটনা স্থলের অংশ পাশের এলাকায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। নতুন করে আর কোন মরদেহ উদ্ধার হয়নি।
এলাকায় এখনো শোকের ছায়া বিরাজ করছে। সনাক্ত হওয়া ১৪ এবং ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে মৃত্যু হওয়া ১ জনের লাশ নিজ নিজ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এসব মরদেহ এলাকায় পৌঁছালে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।