শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। আর এই শিক্ষার যারা পাঠদান করেন সেই শিক্ষাগুরুরাই জাতি গঠনের শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার। শিক্ষার্থীদের দুর্বলতাকে পুজিঁ করে একশ্রেণীর শিক্ষক স্বীয়স্বার্থ চরিতার্থ করার অপচেস্টায় লিপ্ত। বরিশালের ডিডাব্লিউএফ নার্সিং কলেজের এক শিক্ষকের কল রেকর্ড পাওয়া যায়। যেখানে ঐ শিক্ষক তার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজী হওয়ার জন্য ছাত্রীকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করছেন।
প্রাপ্ত কল রেকর্ডিংয়ের আলাপচারিতা-‘তোমার আমার সর্ম্পক সার্কুলার করা যাইবে না। প্রতি রাতে …। তোমার যেমন ইচ্ছে তুমি …। তত বারই …। লঞ্চের কেবিনে ঢাকায় একদিন, কক্সবাজার দুই দিন ও চট্রগ্রামে দুই দিন, সারা রাত ….। তোমাকে পাগল …।’
এভাবইে তিনটি কল রেকর্ডের মাঝে মাঝে অশালীন কথা বলতে শোনা যায় বরিশাল ডিডাব্লিউএফ নার্সিং কলেজের অধ্যাপক মো. জহিরুল ইসলামের। তিনটি কল রেকর্ডই এসেছে আজকের সংবাদে। ৫মনিটি ২৪ সেকেন্ড, ২মনিটি ৪৯ সেকেন্ড ও ১ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের কল রেকর্ডে শোনা যায় আপত্তিকর নানা কথা।
তাদের কথোপকথন শোনে জানা যায় ফোনের অপর প্রান্তে থাকা মেয়েটি ঐ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। অশ্লীল শব্দের ব্যবহার থাকায় পাঠকের জন্য পুরো কল রেকর্ডের কথাগুলো তুলে ধরা সম্ভব হয়নি।
কল রেকর্ডের মাঝে মাঝে অধ্যাপক বলনে, আমার সঙ্গে যখন দেখা হবে তখন ঔষুধ খাইয়ে দিবো। তুমি আমারে …।
১ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের কল রেকর্ডে অধ্যাপক বলেন- লঞ্চ অনকে বড় তুমি আলাপই পাবা না। এখানে কেবিন আছে। তুমি আর আমি …। বাথরুম আছে …গোসল করতে পারবা। সব ব্যবস্থা আছে। বাসায় যে রকম সে রকমই নিরাপদ। নিরিবিলি কথা বলতে পারলাম,
তুমি আমাকে সময় দিলা আমি তোমাকে… ।
মেয়ে বলে -আরে বাবা! শোনেন শোনে, সবকিছু ঠিকঠাক করে আমি যখন হোস্টল যাব,ক্লাসে যাব। সবাই যখন আমাকে জিজ্ঞেস করবে এতো দিন ক্লাসে আসো নি কোথায় ছিলে তখন? যদি নানান ধরণের প্রশ্ন করে তখন আমি কি করব?
অধ্যাপক- তুমি অন্য জায়গায় পড়াশোনা করছো বলবে। আমি তোমার জন্য চিঠি আইনা দিমু, তোমার শরীর যখন খারাপ হবে তখন গিয়ে চুপচাপ দিয়ে আসবা। সব সমস্যার সমাধান হবে।।
৫ মনিটি ২৪ সেকেন্ডের কল রেকর্ডে শিক্ষার্থী বলেন, আপনার ওয়াইফ যদি জানে তখন কি করবনে? উত্তরে অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম বলেন, বলনে, গোপনীয়তা রক্ষা করবে। তোমার সঙ্গে যে আমার রিলেশন এইটা গোপন রাখতে হবে। গোপন রাখতে হবে? এর মাঝে কিছু শব্দচয়ণ ভাল না থাকায় পূর্ণাঙ্গ আলাপচারিতা তুলে ধরা সম্ভব নয়।
মেয়ে অপারগতার সুরে বলে- কিন্তু সব কিছুর জন্য আমাকে সময় দিতে হবে। উত্তরে অধ্যাপক বলেন, হ্যাঁ দিবো কিন্তু সময় দিবো সব করবো কিন্তু এটা সার্কুলার করা যাইবে না, ঠিক আছে? মেয়ে – সার্কুলার মানে পাবলশি করা যাবে না? অধ্যাপক- হ্যাঁ, কারো কাছে প্রচার করা যাবে না। পারবে না?
অধ্যাপক – তোমার আর আমার মধ্যে থাকবে। মেয়ে- দেখা যাক। জহিরুল পরে বলনে, না কোন অসুবধিা আছে বলো? মেয়ে – কি রকম? এখন বাড়িতে আছি তো তাই এতো কথা বলতে পারছি না। এজন্য এতো সমস্যা। আধ্যাপক -আচ্ছা।তোমাকে পটুয়াখালী পাঠাবোনা তোমাকে পাঠাবো বরিশাল।
মেয়ে স্যার ওখানে থাকলে সমস্যা কি? আমার তো ওখানে ইয়ে করা আছে,রেজিস্ট্রেশন করা আছে। জহিরুল না না তোমাকে ওখানে দেয়া যাবে না অসুবিধা আছে,ওখানে দিলে তুমি সুযোগ সুবিধা বেশী পাইবা না।
মেয়ে নাহ! পাব না কেন? স্যারকে বললে দিবে। ওখানে আমার পরিচিত আছে। জহির না না পাবে না, ৭ দিন থাকলেই পরিচিত হয়ে যাবে সমস্যা নাই। মেয়েওখানে যদি প্রব্লেম হয়।
অধ্যাপক- কি প্রব্লেম হবে?ে না, না কোন প্রব্লেম হবে না। হলে পটুয়াখালীতে হবে। এখানে কোন প্রব্লেম হবে না। মেয়ে -পটুয়াখালীতে প্রব্লেম হবে কেন? অধ্যাপক-পটুয়াখালীতে গেলে তুমি তো আমার সঙ্গে দেখা করতে পারবানা । ঠিক আছে। মেয়ে -আচ্ছা ভাবতে হবে। জহির বরিশালে তোমাদের ইয়ারের স্টুডেন্ট আছে।
মেয়েকে? অধ্যাপক- তোমার র্থাড ইয়াররে মেয়েরাই আছে গেলেই দেখতে পারবে । তুমি চিন্তা করো না, ওখানে থাকলে সমস্যা কি? দুই বছর থাকলে তোমাকে দুই বছর বেশী পাইলাম? অনকে কিছু…..হবে।
মেয়ে-সমস্যা হলো দূরে হয়ে যায়। অধ্যাপক ঠিক আছে ঔখানে বইসা তোমারে থার্ড ইয়ারে দিয়ে দিবোনি সমস্যা নাই। তাহলে তুমি তোমার ম্যাডামরে একটু ফোন দিও ? আগে চিন্তা করো, তার পরে তোমার ম্যাডামরে ফোন করে বলো ম্যাডাম আমি তো বরিশালে আসতে চাই।
পরে অধ্যাপক জহির অশালীন ভাষা ব্যবহার করে যার প্রকাশ করা মতো নয়। আংশিক তুলে ধরা হলো, অধ্যাপক বলনে, তুমি যদি আমার কাছে একা রাতে থাকো তোমাকে … ? আমি যেমন ঢাকা থাকি ঐরকম তোমাকে এনে ঢাকায় ….. তুমি যখন বাড়ি থেকে আসবা তখন তোমাকে নিয়ে .. .। তুমি আর আমি .. . । তোমার সব চাহিদা শাররিকি, মানসকি ও আর্থিক সব চাহদিা পূরণ করব: হবে না? তুমি শুধু আমারে .. .।
কল রেকর্ড সর্ম্পকে জানতে বরিশাল ডিডাব্লিউএফ নার্সিং কলেজের অধ্যাপক জহিরুল ইসলামের কলেজে যোগাযোগ করা হলে কলেজ থেকে জানানো হয় তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন,এবিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন দায় গ্রহণ করবে না বলে জানিয়ে দেয়। জহিরুল ইসলামের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মেয়ে পরিচয়ে একটি মেয়ে আজকের সংবাদকে জানায় তিনি চিকিৎসকের নিকট আছেন। ৩০ মিনিট পরে ফোন দিতে বললেও পরবর্তীতে আর ফোন রিসিভ করেননি।