জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সবকিছুর ঊর্ধ্বে জীবন। জীবনের জন্য আমরা রাজনীতি করি। উন্নয়নসহ সবকিছু আমাদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য। যদি জীবন না থাকলে তাহলে রাজনীতি ও উন্নয়নের কোনো অর্থ থাকে না।
তিনি বলেন, আমরা সংসদে, গণমাধ্যমে বলেছি, প্রান্তিক পর্যায়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য বিভাগের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে কিছু কাজ প্রান্তিক পর্যায়ে বাস্তবায়ন করেছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
লালমনিরহাটে চারদিনের সফরে যাওয়ার পথে বুধবার দুপুরে রংপুর দর্শনাস্থ পল্লী নিবাস বাসভবনে প্রয়াত জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, সরকার লকডাউন দিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ কোটি মানুষকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি করেছিলাম। এ জন্য প্রতি মাসে সরকারের প্রয়োজন ছিল ২০ হাজার কোটি টাকা। এক মাস এ অর্থ সহায়তা দিলে দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে আসতো। যে দেশে মানুষের পেটে খাবার নেই সেসব মানুষকে ঘরের ভেতরে আটকে রাখা সম্ভব নয়। তাই সরকারকে মানুষের জীবনের দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
জিএম কদের আরও বলেন, সরকার যে বাজেট করেছে সেই অর্থের যোগান দাতা আমরাই। যদি মানুষ বেঁচে না থাকে তাহলে বাজেট বাস্তবায়ন হবে না। যদি বাজেট বাস্তবায়ন হয় তবে সেটির সুফল দেশবাসী ভোগ করতে পারবে না।
করোনার টিকা নিয়ে জিএম কাদের বলেন, সরকার যেভাবে টিকা প্রদান করছে এতে আমরা সন্তুষ্ট নই। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে আমরা তলানীতে রয়েছি। আমাদের দেশে এ পর্যন্ত মাত্র ২ থেকে ৩ ভাগ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। এছাড়া টিকা প্রদানে চরম বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা গেছে। করোনা সংক্রমণ রোধে টিকা নিতে কেন্দ্রে মানুষ এসে সংক্রমিত হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, মহানগর যুব সংহতির সভাপতি শাহীন হোসেন জাকির, সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দিন কাদেরী শান্তিসহ স্থানীয় জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।