করোনা সংক্রমণে সরকারের সর্বাত্মক চেষ্টায় কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলেও ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলে ফিরতে মানুষের বাঁধভাঙা জনস্রোত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেের বাইরে চলে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এমতাবস্থায় জনসমাগম এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা পালনের আহবান জানান তিনি।
শনিবার ওবায়দুল কাদের সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব আশঙ্কার কথা বলেন।
কাদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের নাকি গত একযুগ ধরে ঈদ নেই এবং তাদের হত্যা করা হচ্ছে ও মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে বলেন আপনারা কি ভুলে গেছেন ২০০১ সালে ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর যে নির্মম নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছিলেন?
সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আমলে মা, বাবা মারা গেলেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গ্রামের বাড়ি যেতে পারেনি,দাফন কাফনের শেষ সুযোগটুকুও দেওয়া হয়নি। মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদের নামাজ পড়া অবস্থায়ও গ্রেফতার করা হয়েছিলো। কতটা নিষ্ঠুর এবং অমানবিক হলে তারা এমনটা করতে পেরেছে ।
তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী এলাকায় বাড়ি-ঘরে যেতে পারেনি, তা স্মরণ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন সেই ইতিহাস বেশিদিন আগের নয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আমলের নির্যাতনের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর কোন নজির স্থাপন করেনি শেখ হাসিনা সরকার।
১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচি অনুযায়ী ১৬ ও ১৭ মে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটি তথ্য ও সংবাদচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠান করবে। ১৬ মে সকাল ১১ টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ মে সকাল ১১ টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা। ১৭ মে বিকেল ৩ টায় মহানগর নাট্য মঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠান। এছাড়াও সারাদেশে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে।