বাংলাদেশ যেন অন্যান্য দেশ থেকে টিকা না পায় সেজন্য বিএনপি ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার যখন বিভিন্ন সূত্র থেকে করোনার টিকা গ্রহণ করছে, তখন বিএনপি ভেতরে ভেতরে চেষ্টা চালাচ্ছে এবং সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে চেষ্টা চালাচ্ছে, দলটির বৈদেশিক শাখা থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বাংলাদেশ যেন অন্যান্য দেশ থেকে টিকা না পায়।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘সাহসী জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এখন রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন। একসময় বাংলাদেশ সাহায্যপ্রার্থী ছিল, আমরা পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে সাহায্য গ্রহণ করতাম। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সময় অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বাংলাদেশের বাজেট পেশ করার সময় প্যারিসের বৈঠকে দেন-দরবার করতেন দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। এখন দাতাগোষ্ঠীরা আমাদেরকে সাহায্য দিতে চায়, কিন্তু আমরা নিতে চাই না।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে প্রথমে বিশ্ব ব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর তারা আবার আমাদেরকে সাহায্য দিতে চেয়েছিল, কিন্তু আমরা সাহায্য নেইনি। নিজেদের রাজস্ব এবং অন্যান্য খাত থেকে যে আয় ও সংগ্রহ তা থেকেই আমাদের আয় এবং তার ওপরেই বাজেট দেওয়া হয় ও বাস্তবায়ন করা হয়। আমাদের বাজেট বাস্তবায়নের হার ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ। আমরা এখন সাহায্য নেই না বরং সাহায্য করি। কিছুদিন আগেও শ্রীলঙ্কাকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের ১০ বছর মেয়াদি ঋণ দিয়েছি। পত্রিকায়-গণমাধ্যমে এসেছে, একসময়ের ঋণগ্রহীতা দেশ এখন ঋণ দিচ্ছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা এখন অন্যদের ঋণ দিচ্ছি। এই করোনায় ভারতকেও আমরা সাহায্য করেছি, তারাও আমাদের সাহায্য করেছে। আমাদের মাথাপিছু আয় সম্প্রতি ভারতকে অতিক্রম করেছে। এসবই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে। তার নেতৃত্বের কারণেই বিশ্বজুড়ে করোনার মধ্যেও অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি। বিশ্বের ১৩০টি দেশ যখন টিকা দেওয়া শুরু করেনি তখন বাংলাদেশ টিকা দেওয়া শুরু করেছে। মাঝখানে ভারতের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সিরাম থেকে টিকা পাইনি। কিন্তু আমাদের সরকার অন্যদেশ থেকে টিকা সংগ্রহের কথা আগে থেকেই বলে রেখেছিলে। পত্র-পত্রিকায় অনেক বিশেষজ্ঞের মতামত দেখি- সরকার যদি সেসব যোগাযোগ করতে না পারত, তবে অন্যান্য সূত্র থেকে টিকা আসত না। যখন সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা আসার ঘোষণা দেওয়া হলো, তখন বিএনপি থেকে অপপ্রচার চালানো হলো- এই টিকা কাজ করবে না, মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে, মানুষ মারাও যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার , ব্যারিস্টার জাকির আহম্মদ প্রমুখ।