বাংলাদেশে ট্রেনের যাত্রীবাহী কোচ ও লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) কারখানা নির্মাণে আমেরিকাকে আহ্বান জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
রেলের ডাবল লাইন নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, আমেরিকার ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে রেলওয়েতে বিনিয়োগের বিভিন্ন ক্ষেত্র খতিয়ে দেখতে পারে।
বুধবার রেলভবনে সাক্ষাৎকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারকে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। রেলপথ মন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশের রেলওয়ের অবকাঠামো সমস্যা তুলে ধরেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ট্রেনের চল্লিশটি লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) আসছে বাংলাদেশে। লোকোমোটিভগুলো দেশে আসছে পাঁচ লটে। ইতোমধ্যে প্রথম লটের আটটি চলে এসেছে। এসব লোকোমোটিভ চালানোর দক্ষ জনবল তৈরি করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত প্রযুক্তি বাংলাদেশের রেলওয়েতে কীভাবে যুক্ত করা যায় তা দেখতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানান রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
সভায় আরও দশটি লোকোমোটিভ একই দামে আমেরিকা থেকে কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে ইতিবাচক আগ্রহ প্রকাশ করে।
দেশে চল্লিশটি লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সরবরাহকারী আমেরিকান প্রতিষ্ঠানের নাম প্রগ্রেস রেল। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম থেকে দেশে একশটি লোকোমোটিভ আসছে। সেগুলোর যন্ত্রপাতিও সরবরাহ করবে আমেরিকার প্রগ্রেস কোম্পানি।
সভায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে ইকোনমিক অফিসার জেফরি ডির্কস উপস্থিত ছিলেন।