গত ৬ ডিসেম্বর সোমবার ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের কলাবাগানের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ স্বীকৃতির সূবর্ণ জয়ন্তী’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে , সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহামুদ হাসান রুবেলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু, ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক কাজল দত্ত, কেন্দ্রীয় নেতা মুশফিকুর রহমান জাহাঙ্গীর, মিজান ইবনে হোসেন। এছাড়াও নগর নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এম. মনসুর আলী, মাহতাব আলী রাশেদী, প্রফেসর ড. সামসুদ্দিন ইলিয়াস, মো. মোতাহার হোসেন, ডা. অসিত মজুমদার, কে এম সিদ্দিকুজ্জামান, শেখ ওহিদুজ্জামান মিন্টু, নির্মল বিশ্বাস, প্রকৌশলী মোহাম্মদ আওয়াল হোসেন, কাইসার জাহান রিতা, অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, শেখ জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা ভারতের তৎকালিক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও ভূটানের তৎকালিক রাজা রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে এক মাইলফলক। এসময় একদিকে যেমন চলে রণাঙ্গনের যুদ্ধ অন্যদিকে তেমনি চলছিল স্বাধীনতা যুদ্ধ ও সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ে কূটনৈতিক যোগাযোগ।
এইদিনে প্রথম স্বীকৃতি দান করে ভুটান। একই দিনে কিছু সময় পরে স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশের আদি ও অকৃত্রিম বন্ধু ভারত। অবশ্য মুক্তিযুদ্ধের সময় কোটি বাঙালিকে আশ্রয় দেওয়া, অস্ত্র ও সর্বত সহযোগিতা দানের মাধ্যমে অলিখিত স্বীকৃতি মুক্তিসংগ্রামের প্রথম থেকেই দিয়ে আসছিলো ভারত।
ভারতের স্বীকৃতি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ‘ভারত-পাকিস্তান’ যুদ্ধের পরিচিতি থেকে মুক্তি দেয়। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে পাকিস্তান। এ স্বীকৃতির ফলে মুক্তিযুদ্ধের গতি আরও বেগবান হয়। রণযুদ্ধের পাশাপাশি কূটনৈতিক যুদ্ধেও পরাজিত হতে থাকে পাকিস্তান।