ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের সুপ্ত বাসনা ছিল, তারা দেশের মালিক হবে। তারা সে পথেই হাঁটছে। ধীরে ধীরে তারা আদালত, বিচারব্যবস্থা, রাষ্ট্রযন্ত্র, প্রশাসন, সংসদ- সব কিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতিপাড়ায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করবে বিএনপি। ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর রাতেই হয়ে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভোটডাকাতি করে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে একদলীয় শাসনব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি আরও বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা বিস্তৃত করতে আওয়ামী লীগ সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে তারা বিভিন্ন আঙ্গিকে ভিন্ন কৌশলে আদালতকে ব্যবহার করছে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের হালহকিকত একই আছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রক্ষা করতে এবং আন্দোলনের অংশ হিসেবে। তিনি বলেন, অন্য সময় জনগণের কাছে যাওয়া যায় না, তাদের সঙ্গে কথা বলা যায় না। গেলেই নানা অজুহাত তুলে মামলা দেয়, হামলা করে তারা। নির্বাচনের সময় বাধা দেয় না। এ সময় সুযোগ তৈরি হয় জনগণের সঙ্গে কথা বলার, দেখা করার।
করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের চিরাচরিত অভ্যাস দুর্নীতি করা, চুরি করা। করোনা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও এই মোহ ছাড়তে পারছে না তারা। ৩ ডলারের ভ্যাকসিন ৫ ডলার দিয়ে কেনা হচ্ছে। অতিরিক্ত ডলার কোনো এমপি-মন্ত্রীর পকেট থেকে যাবে না, যাবে জনগণের ট্যাক্স থেকে। ‘এখানেও সরকারের দুর্নীতির একটি বড় অংশ রয়েছে। আর এই কন্ট্রাক্ট যিনি পেয়েছেন তিনি সরকারের উপদেষ্টা হলেও ব্যাংকের একজন বড় ডিফোল্ডার। এ থেকেই বোঝা যায় দুর্নীতি এ দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ ঠিক করেছে কী দামে কী মূল্যে দেশের নাগরিকরা টিকা পাবে। কিন্তু আমাদের দেশে সেই বিষয়ে রোডম্যাপ করা হলেও পরিষ্কার করা হয়নি। এখনও অস্বচ্ছ রয়ে গেছে। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও পৌরসভা মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক মামুন-উর রশিদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।