খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার বাগমারা দারুস সালাম জামে মসজিদ ফান্ডের ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তকারীর বিরুদ্ধে সুবিধা নিয়ে অভিযুক্তদের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করার অভিযোগ উঠেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট মুসাল্লী, বাজার ব্যবসায়ী সহ সংশ্লিষ্ট কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ বা স্বাক্ষী প্রমান না নিয়েই অভিযুক্ত ৩ কর্মকর্তার সাথে গোপন বৈঠক করে ভুরিভোজ ও নগদ নজরানা নিয়ে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে এই বিপুল পরিমান টাকা আত্নসাতের বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছেন বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য গত ৪ জানুয়ারী জাতীয় দৈনিক আজকের সংবাদ পত্রিকায় মসজিদ ফান্ডের ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রকাশিত হয়। অভিযোগটি রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তারের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার কাজী এনামুল হককে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পত্র মারফত নির্দেশনা দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্তদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে কালক্ষেপন করে উপযুক্ত কাগজ তৈরী করে তাদের পক্ষে রিপোর্ট দাক্ষিল করেন। যা দেখে যে কারো পক্ষে অনুমান করা সম্ভব যে একই সময়ে তৈরী করা ভাউচার সহ অন্যান্ন কাগজ পত্র। সংগত কারনে অভিযোগটি পূনঃ তদন্তের দাবী উঠেছে মুসল্লীদের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি এবিষয়ে আমাদের প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার বলেছেন সংবাদটি প্রকাশের পর আমি তদন্ত করার জন্য ইসলামী ফাউন্ডেশনকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তা আমার কাছে রিপোর্ট দাখিল করেছেন। আমি সেই ফাইল সংশ্লিষ্ট জেলা অফিসে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছি। তিনি তদন্তকাজে বিলম্ব করায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। উল্লেখ্য উক্ত মসজিদের অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে রেলের জমি জবর দখল করে ৫০টির অধিক পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে অবৈধ বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি অন্যের জমি জবর দখলের সীমাহীন অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে। জানাযায় ১৯৯৯ সালে মসজিদের ইমাম মাওঃ আব্দুল কুদ্দস মসজিদে বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বানানোর বিরোধিতা করায় কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নানা কৌশল অবলম্বন করে তাকে মসজিদ থেকে বিতাড়িত করে। তারপর অবাধে শুরু করে মসজিদ বানিজ্য। প্রতিমাসে মসজিদের বিভিন্ন খাত থেকে আনুমানিক আয় দুই লাখ টাকা। মসজিদের সামনে রেলের জমিতে ২০টি পাকা গর নির্মান করা হয়েছে। প্রতিটি দোকান থেকে ৫দ্ধ২০=১০০০০০ টাকা। কবরস্তানে প্রতিমাসে কম হলেও ২০ টি দাফন সম্পন্ন গয়। প্রতিটি কবর থেকে নেয়া গয় ৩থেকে ৫ হাজার টাকা। সেমতে গড় আয় ৬০ হাজার টাকা। প্রতিমাসে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫/১০ টাকা করে এক হাজার দোকান থেকে আনুমানিক ৭/৮ হাজার এবং প্রতি শুক্রবার কালেকশন হয় ২/৩ হাজার টাকা সেমতে আরো ৬/৭ হাজার টাকা। সব মিলেয়ে প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা মসজিদের স্থায়ী আয় হয়। প্রতি মাসে খরচ হয় ইমাম-মোয়াজ্জেমের বেতন ও বিদ্যুৎ বিল বাবদ আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা। অবশিষ্ট থাকে ১লাখ ৭০ হাজার টাকা। গত ২১ বছরে যার পরিমান দাঁড়ায় ৪ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার কোন হদিস মিলছেনা। গত ২১ বছরে কোনো দিন মসজিদে হিসাব দেয়নি। মসজিদ ঘরেরও তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি।