রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাবুপাড়ায় এমএন লারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা বিশ্বমিত্র চাকমাকে তারই সহকর্মী গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাত ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তির বাড়ি একই উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের দক্ষিণ হাগলাছড়া গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বমিত্র ও তার দলের সহকর্মী সুজন চাকমা মিলে মঙ্গলবার রাতে বাবুপাড়া এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাত গভীর হলে অন্য সহকর্মীরা ঘুমিয়ে পড়লে কৌশলে তাদের তালা মেরে দেন সুজন। পরে তিনি মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে বিশ্বমিত্রকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পুলিশ খবর পেয়ে বুধবার ভোরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহত বিশ্বমিত্র এমএন লারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কমান্ডার ছিলেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এমএন লারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক যশি চাকমা জানান, সুজন দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষ সন্তু লারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির গুপ্তচর হিসেবে কাজ করে আসছে। তার দলের বিশ্বমিত্রকে গুলি করে মৃত্যুর নিশ্চিত হওয়ার পর সন্তু লারমা দল জেএসএসের সঙ্গে আতাঁত করে পালিয়ে গেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
তবে, প্রতিপক্ষ সন্তু লারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চাকমা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সুজন নামে কেউই তাদের দলে যায়নি। তার দল এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে সমর্থন করে না এবং এ ধরনের সন্ত্রাসীদের দলের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে না।
বাঘাইছড়ি থানার ওসি আশরাফ উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হত্যাকারী প্রতিপক্ষ দলের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। বুধবার ভোরের দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।