২০২০-২১ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে চেলসির কাছে হেরে বিদায় নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। দলের ব্যর্থতায় সবাই যখন ব্যথিত, স্পষ্ট আনন্দের ছাপ দেখা যায় এডেন হ্যাজার্ডের অবয়বে। সাবেক ক্লাব চেলসির সতীর্থদের সঙ্গে চেলসির সখ্যতা খুব স্বাভাবিক হলেও এমন মুহূর্তে হ্যাজার্ডের হাস্যোজ্জ্বল রূপ পছন্দ হয়নি ভক্তদের। ঘটনাটির পুনরাবৃত্তি হলো যেনো বার্সেলোনা ডিফেন্ডার ক্লেমেন্ত ল্যাংলেটের হাসিতে।
দুই দশকেরও বেশি সময় পর চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে বার্সেলোনা। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে ব্লাউগ্রানারা। এমন হারে কোচ জাভি হার্নান্দেজ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘আমি রেগে বিদায় নিচ্ছি। দলের এমন বাস্তবতা আমাকে ব্যথিত করেছে।’ ইউরোপা লীগে অবনমনের জেরে সবার মনে যখন বিষাদে ভরা, সেই মুহূর্তে ৯০ মিনিট খেলা ল্যাংলেটকে দেখা গেলো লেভানদোভস্কির সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল। বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বার্সা সমর্থকরা।
ল্যাংলেটের এমন আচরণে এক বার্সা ভক্ত নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করেন, ‘ইউসিএল থেকে বাদ পড়ার পরও লেভানদোভস্কির সঙ্গে হাসিতে মজেছেন ল্যাংলেট।
তিনি ভাগ্যবান যে আমি বার্সেলোনার সভাপতি নই, তা হলে আমি তাকে দলের বিমানে উঠতে দিতাম না। চুক্তি বাতিল করতাম তার সঙ্গে।’
‘ফুটবল নলেজ’ নামক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়, ‘এমন বেহাল দশা থেকে বেরিয়ে আসতে আরও এক দশক লাগবে বার্সেলোনার। বাজে ভাবে হারার পরও ল্যাংলেট লেভার সঙ্গে হাসি তামাশায় মত্ত। এটিই আপনাকে সব বুঝিয়ে দেয়।’ দলের দুর্দশায় খেলোয়াড়দের গা ছাড়া ভাবকেই দোষ দিতে চাওয়া হয়েছে পোস্টটি দিয়ে।
আরেকজন লিখেছেন, ‘৩-০ তে হারার পরও সে নির্ভীকভাবে হাসছে।’