রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস বিতরণকারী চারটি প্রতিষ্ঠান আবাসিক খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। দুই চুলার জন্য মাসিক বিল দুই হাজার ১০০ টাকা এবং এক চুলার জন্য দুই হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে বিধিসম্মত না হওয়ায় ‘দায়সারা’ সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে (এলএনজি) ভর্তুকি সামাল দিতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। একাধিক গ্যাস বিতরণ কোম্পানি গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার গড়ে ১১৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। অর্থাৎ প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৯ টাকা ৩৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা ৩৫ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
পেট্রোবাংলা সূত্র থেকে আরও জানা যায়, তিতাস, বাখরাবাদ ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানিসহ চারটি কোম্পানি আলাদাভাবে অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) এ প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এই সপ্তাহে বাকি দুটি কোম্পানিও তাদের প্রস্তাব জমা দেবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, ভর্তুকির চাপ সামলাতে গত বছরের ডিসেম্বরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হারসংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল।
৩ জানুয়ারি জ্বালানি বিভাগ গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বিইআরসিতে পাঠাতে পেট্রোবাংলাকে নির্দেশনা দেয়। আমদানি করা এলএনজি এবং দেশীয় গ্যাসের দাম, ভ্যাট-ট্যাক্স, বিভিন্ন চার্জ ধরে একটা খসড়া হিসাব পেট্রোবাংলা থেকে বিতরণ কোম্পানিগুলোতে পাঠানো হয়। এরপর বিতরণ কম্পানিগুলো নিজেদের আয়-ব্যয় হিসাব উল্লেখ করে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব কমিশনে জমা দেয়। পাশাপাশি কোম্পানিগুলো নিজেদের পরিচালন ব্যয় বাড়ানোরও প্রস্তাব দিয়েছে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল গণমাধ্যমকে বলেন, বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হয়নি, মূল্যবৃদ্ধির আবেদনও যথাযথ হয়নি। প্রবিধানমালা মেনে প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। প্রস্তাব জমার পর তা যাচাই-বাছাই করে কমিশনের কারিগরি কমিটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন দেবে। এরপর তা আমলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। এর আগে বিইআরসি ২০১৯ সালের ১ জুলাই গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল। তখন বাসাবাড়িতে দুই চুলার দাম ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৭৫ টাকা এবং এক চুলার দাম ৭৫০ টাকা থেকে ৯২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।