বিআইডব্লিউটিসি ডক-২’র নির্বাহী প্রকৌশলী স্বদেশ প্রসাদ মন্ডলের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিআইডব্লিউটিসি’র এই হাইব্রিড কর্মকর্তা উন্নয়ন ও সেবার নামে প্রতিনিয়ত দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নিজের আঁখের গোছাচ্ছেন। সংস্থার উন্নয়নের নামে, নিজ স্বার্থে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে এই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অর্থ আত্মসাৎ করছেন, বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। দূর্নীতিবাজ স্বদেশ প্রসাদ মন্ডল এতটাই শক্তিশালী যে, তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তাদেরকে চাকুরীচ্যুত বদলীসহ কোনো শাস্তি দিয়ে হেস্তনেন্ত করা হয়। য়ার ফলে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না। দূর্নীতির প্রতিবাদ করায় অনেক কর্মচারীকে চাকুরী হারানোর হুমকী দেয়া হয়।
দূর্নীতিগ্রস্থ একজন অফিসার যার বিরুদ্ধে কয়েক দফা দূর্নীতির অভিযোগ মন্ত্রণালয় থেকে কর্মস্থল বিআইডব্লিউটিসি থেকেও ও শতর্কীকরণের পত্র বহুবার কারণ দর্শানোর নোটিশ, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কেলেংকারিতে জর্জরিত বিতর্কিত অফিসার স্বদেশ প্রসাদ মন্ডল। বিভিন্ন অপকর্মের কারণে চাকুরী জীবনে সাময়িক ভাবে বরখাস্তও ছিলেন দীর্ঘদিন। ঢাকা থাকাকালীন তিনি বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। সম্প্রতি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল স্বদেশ প্রসাদ মন্ডল এর বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে অদৃশ্য কারনে ও উপরের কর্মকর্তাদের মোটা অংকের ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে তিনি দায়মুক্ত হয়েছেন বলে উক্ত সূত্রে জানা যায়। যে কারনে মহা
দূর্নীতিবাজ পুনরায় আবার বেপরোয়া হয়ে দাম্ভিকতার সাথে ডক-২ কে দূর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করেছেন, এ যেন দেখার কেউ নাই। ডকইয়ার্ডে যে সমস্ত জলযান মেরামতের জন্য আসে তাতে বেশির ভাগই নিম্নমানের যন্ত্রাংশ পুরাতন মালামাল রিপেয়ারিং করে ব্যবহার করার ফলে মেরামতের স্থায়ীত্ব বেশী দিন হয় না এবং পুনরায় মেরামতের জন্য ডকইয়ার্ডে আসে। এর মধ্যে ফেরী বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, ডাম্প ফেরী টাপলু, ফেরী যমুনা, ফেরী কর্ণফুলীসহ ও অন্যান্য জলযানগুলির কাজ সঠিক ভাবে সম্পাদন করা হয়নি, যা উচ্চ পর্যায় তদন্ত করলে থলের বিডাল বেড়িয়ে আসবে। সিডিউল অনুযায়ী ওয়ার্ক অর্ডার করা হয় না।
মেরামতে আসা জলযানগুলির মাষ্টার ও ড্রাইভারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মেরামত কাজ সম্পাদন করা হয় বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রে জানা যায়। মেরামতের জন্য আসা জলযানগুলিকে সর্ব প্রথম চিপিং স্ক্র্যাপিং সাপেক্ষে গেজিং রিপোর্ট তৈরি করা হয়। গেজিং রিপোর্টে যদি ৫০টি প্লেট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কাজের ক্ষেত্রে দেখা যায় তিনি মাত্র ১০টি প্লেট পরিবর্তন করে বাকী প্লেটগুলি পরিবর্তন না করে পেইন্টের মাধ্যমে বিল্ডআপ করে বাকী কাজ সম্পাদন করেন এবং প্লেট পরিবর্তন না করে উক্ত প্লেট গুলি অন্যত্র বিক্রি করে নিজের পকেট ভারী করেন। এভাবে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন স্বদেশ প্রসাদ মন্ডল। দূর্নীতি কমিশন দুদক কিংবা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় তদন্ত করলে স্বদেশ প্রসাদ মন্ডলের কোটি কোটি টাকার দূর্নীতি প্রমাণ মিলবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়।