কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।
তবে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে সকল ক্ষমতা থাকবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
রোববার (০২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জাতীয় সেবা দিবসে আলোচনা সভা ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচনের আয়োজন করবে। সকল রাজনীতি দলকে আমি অনুরোধ করবো। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন না করে বা কোনো দল যদি না নির্বাচন না করে সেই দায় দায়িত্ব তাদের। নির্বাচন কমিশনের কাছে দায়িত্ব থাকবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার। সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলী রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, বিএনপি নানা রকম সমালোচনা ও হুমকি দিচ্ছে। হুমকি দিয়ে সংবিধান থেকে সরাতে পারবে না। বিএনপি নির্বাচনে আসুক বা না আসুক যথা সময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে। আমি মনে করি বিএনপি নির্বাচনে আসবে। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া একটি বড় দলের প্রধান। তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হয়েছে। তাকে জেলে থাকার কথা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে জেল থেকে তাকে বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। আইন অনুযায়ী তিনি বিদেশে যেতে পারেন না। এটিকে কেন্দ্র করে সারাদেশে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছে। দেশকে সন্ত্রাসের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য নানা রকম বাহানা ও নানা রকম কর্মসূচি দিচ্ছে। আমি মনে করি আমাদের সচেতন হতে হবে। সারা জাতিকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের শান্তি ও স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।
জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের), এমপি ছানোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস.এম সিরাজুল হক, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শাহ আলম।
এর আগে, সমাজ সেবা দিবস উপলক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে সার্কিট হাউজ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এরপর ২২৭ জনের মধ্যে চিকিৎসসহ বিভিন্ন সহায়তার চেক ও ২০ জনের মধ্যে হুইল চেয়ার দেওয়া হয়।