বিএনপির উদ্দেশ্য নির্বাচন নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, দেশে একটি গণ্ডগোল লাগিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে কিছু করা যায় কি না, সেই অপচেষ্টা করছে বিএনপি। দলটির জন্মই হয়েছে, পেছনের দরজা দিয়ে। সে কারণেই তারা সবসময় পেছনের দরজা খোঁজে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের প্রচার সেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালেও নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল। পাঁচ শ ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ মানুষ পুড়িয়েও পারেনি, ভোট হয়েছে। ২০১৮ সালেও প্রথমে বয়কট ও পরে অংশ নেয় তারা। সাড়ে ১২ বছর ধরে তাদের তর্জন-গর্জন শুনে আসছি। খালি কলসি বাজে বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা শাখা থেকে ১১ জন সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখার উদ্যোগ সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পত্রিকায় এটি দেখেছি। সরকার এটি দেখতেই পারে। কিন্তু কী কারণে এটি করা হলো, সে বিষয়ে আমি খোঁজ নেবো।
দীর্ঘদিন অপ্রকাশিত ১০ টি দৈনিক পত্রিকার ঘোষণাপত্র বাতিল আদেশ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রায় চারশ পত্রিকা চরম অনিয়মিত রয়েছে। যারা প্রায় দু’বছর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরে পত্রিকা জমা দেয়নি। এগুলো ভুতুড়ে পত্রিকা। যেদিন বিজ্ঞাপন পায়, সেদিন কয়েক কপি ছাপে। অনেকে অল্প কয়েক কপি ছেপে শুধু তথ্য মন্ত্রণালয় আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দফতরে দেয়। ভুতুড়ে পত্রিকার কী প্রয়োজন সেটিই প্রশ্ন? এগুলো বন্ধের দাবি সাংবাদিকদেরই।
এর আগে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তির অকুতোভয় প্রাণ মাস্টারদা সূর্যসেন এবং প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার স্মরণে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন ১৯৩০ এবং তারুণ্যের প্রেরণা’ বিষয়ে ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন ড. হাছান মাহমুদ।
ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সভাপতিত্বে ও সহযোগী সংস্থা ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক ড. নীপা চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন আসাদুজ্জামান নূর এমপি, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার, চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রদীপ ঘোষ এবং ইয়ুথ অপরচুনিটি সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. ওসামা বিন নূর প্রমুখ।