‘দেশে সম্প্রচারিত কোনো বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না’- তথ্য মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনা শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
২০০৬ সালের কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক কার্যক্রম পরিচালনা আইনে এই বিধান থাকলেও এর আগে কখনোই এটি কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর সাহসী এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার- বিজেসি।
এতে করে দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেল শিল্পের আর্থিক সঙ্কট কমবে এবং উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সম্প্রচার কর্মীরাও এর সুফল পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আরও সুফল পেতে অবিলম্বে গণমাধ্যম কর্মী আইন প্রণয়ন এবং এই শিল্পের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানাচ্ছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্টদের সংগঠনটি।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে সচিবলায়ে এক বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের পরে ‘ক্লিন ফিড’ ছাড়া বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করলে আইন প্রয়োগ করা হবে। সেদিন বৈঠকে কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাটকো, বিদেশি চ্যানেলের ডিস্ট্রিবিউটর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠক শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, ‘দেশে যেসব বিদেশি চ্যানেল আছে আইন অনুযায়ী তারা ‘ক্লিন ফিড’ চালাতে বাধ্য। তাগাদা দেয়ার পরও এসব চ্যানেল ক্লিন ফিড করে পাঠাচ্ছে না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৩০ সেপ্টেম্বরের পর দেশে কোনও অবস্থাতেই ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল চালাতে দেয়া হবে না। এরপর আইন প্রয়োগ করা হবে। আইন অনুযায়ী ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশী চ্যানেল আমাদের এখানে সম্প্রচার করতে পারে না।’
উল্লেখ্য, ‘ক্লিন ফিড’ অর্থ হচ্ছে- বিদেশি চ্যানেলে কোনো বিজ্ঞাপন থাকতে পারবে না। বর্তমান আইনেও আছে বিদেশি চ্যানেলের অনুষ্ঠান বাংলাদেশে দেখাতে হলে ‘ক্লিন ফিড’ দেখাতে হবে। অর্থাৎ অনুষ্ঠান চলবে কিন্তু থাকবে না কোনো বিজ্ঞাপন।