করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ চলাকালে বিদেশগামী কর্মীদের জন্য খুব শিগগিরই বিশেষ ফ্লাইট চালুর ব্যবস্থা করছে সরকার। মূলত সৌদি আরব, ইউএই, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরগামী কর্মীদের জন্য এ বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে।
বুধবার বিধিনিষেধকালীন বিদেশগামী কর্মীদের গন্তব্য দেশে যাওয়া বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জানানো হয়, এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত ওয়ার্ক প্লান আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) নিশ্চিত করবে। বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এয়ারপোর্টে আনার দায়িত্ব রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর।
সভা থেকে আরও জানানো হয়, প্রবাসী কর্মীরা কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশনের ছাড়পত্র নিয়ে এবং দেশে প্রযোজ্য কোয়ারেন্টাইন শর্ত মেনে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে আসতে পারবেন।
পররাষ্ট্র সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান ও বিমানের এমডিসহ পদস্থ কর্মকর্তারা।
এদিকে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল ৭ দিনের বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। এর আওতায় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের পাশাপাশি বন্ধ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও। রোববার (১১ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বিষয়টি জানায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
এদিকে, মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার কর্মী কর্মস্থলে ফিরে যেতে বেশি মূল্যে টিকিট কিনেছেন। হাজার হাজার কর্মী টিকিটের অপেক্ষায় আছেন। হঠাৎ ফ্লাইট বন্ধ হওয়ায় তাদের বিদেশ গমন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।