স্টাফ রিপোর্টার : বিদেশ থেকে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নেগেটিভ সনদ নিয়ে আসলেও দেশে টেস্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী একথা জানান। ড. মোমেন বলেন, বিমানবন্দরগুলোতে প্রবাসীদের কোভিড টেস্ট করতে কড়াকড়ি করা হয়েছে। প্রত্যেকেরই টেষ্ট করা হবে। যদি কারও পজিটিভ হয় তাহলে তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হবে। আর যাদের নেগেটিভ হবে তারা সেলফ আইসোলেশনে যাবেন। ফ্লাইট যোগাযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বুঝে বিভিন্ন দেশে ফ্লাইট বন্ধ কিংবা খোলা হবে। মিয়ানমারের নির্বাচনে সু চির দল বিজয়ী হওয়ার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক দেশ স্বীকৃতি দিলে বাংলাদেশও সেটি বিবেচনা করবে।
অচিরেই রোহিঙ্গাদের ভাষাণচরে পাঠানো হবে জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, এ নিয়ে বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২০’ বিষয়ে সিলেট অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় খসড়া আইনটির বিষয়ে নতুন কোনো পরামর্শ থাকলে তা আগামী ১০ দিনের মধ্যে লিখিত আকারে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে সিলেট মহানগরের পরিধি বাড়ানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং বেশ অগ্রসরও হয়েছে। নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হলে পরিকল্পিতভাবে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হবে। সে কারণে এ আইন প্রণয়ন করা অত্যন্ত জরুরি।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারও সভায় বক্তব্য দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম নাহিদ, সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ কয়েস, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট চেম্বার সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব, সিলেট উইমেন চেম্বারের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়।
সভায় জানানো হয়, সিলেট মহানগরীকে একটি আধুনিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং এ অঞ্চলের সুপরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।