করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশের সীমান্তবর্তী জেলায় যে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে শিথিলতার পরিচয় দিলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ বুধবার দুপুরে করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. নাজমুল ইসলাম এ কথা বলেন।
ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘জুনের ৪ তারিখ থেকে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। গতকাল আমরা দেখলাম ১২ শতাংশের বেশি। সীমান্তবর্তী কিছু জেলায় স্বাস্থ্য প্রশাসনের পরামর্শে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করছে। এটা সবার মঙ্গলের জন্য করা হচ্ছে। আমরা জনগণের সহায়তা কামনা করি। কোনো জায়গায় শিথিলতার পরিচয় দিলে সেটি আমাদের জন্য ভালো ফলাফল বয়ে আনবে না।’
নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, ‘জয়পুরহাটে শতকরা হিসেবে শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের বেশি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৯ শতাংশের বেশি, রাজশাহীতে ২৩ শতাংশের বেশি। এই জায়গাগুলোতে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। এসব জায়গায় লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরোপ করায় স্থিতি অবস্থা আছে। এটি যদি অব্যাহত রাখা যায়, তাহলে ঊর্ধ্বগতি থেকে আমরা রেহাই পেতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একাধিক টিকা ব্যবহার করার অনুমতি পেয়েছি, সেদিক থেকে আমরা ভাগ্যবান। আশা করছি, শিগগির আমরা প্রথম ডোজের টিকাদান কর্মসূচি চালু করতে পারবো। দ্বিতীয় ডোজের টিকার জন্য যারা অপেক্ষমান, তারাও যথা সময়ে টিকা পেয়ে যাবেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালের করোনার নমুনা সংগ্রহের যে বুথ ছিল সেটি আর্মি স্টেডিয়ামে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিদেশগামী যাত্রী যারা, তারা সেখানে নমুনা পরীক্ষা করাবেন। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, কিছু অসাধু ব্যক্তি বিদেশগামী মানুষদের প্রতারিত করে আসছিল। সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে, দুষ্কৃতিকারী কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে এবং শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’