স্টাফ রিপোর্টার : আধুনিক সমরাস্ত্র যোগ করে বিমান বাহিনীকে আরো যুগোপযোগী করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবাহিনীর সদস্যদের সাহস ও মনোবল নিয়ে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে চলার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদেরকে দক্ষ করে গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ভিডিও কনফারেন্সে যশোর বিমান বাহিনী একাডেমীতে, রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন সরকার প্রধান। সেই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশও একদিন যুদ্ধ বিমান বানানোর সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। বাংলার আকাশ শত্রু মুক্ত রাখতে, বিমান বাহিনীর সক্ষমতা দিন দিনই সমৃদ্ধ হচ্ছে নানান মাত্রায়। জীবন বাজি রেখে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে স্বদেশের সীমানা রক্ষায় দিগ্বিদিক সজাগ এই বাহিনীর সদস্যরা।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আজকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে অংশগ্রহণ করি। সেখানে বিভিন্ন দেশেরও সদস্যরা আসে। বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী সকলেই। তাদের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে, যেন কোনোদিক থেকে বাংলাদেশ কোনো কিছুতে পিছিয়ে না থাকে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই যা যা দরকার, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা, আমরা সেটা করে যাচ্ছি। কঠোর পরিশ্রম আর নিয়মতান্ত্রিক চর্চায় বিমান বাহিনীর একেকজন অফিসার প্রস্তুত হন দেশমাতৃকা রক্ষায়। যশোরে এমনই এক নবীন ব্যাচ সম্পন্ন করলো তাদের দীর্ঘমেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ।
ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে ৭৭তম বিমান বাহিনী একাডেমী কোর্স সম্পন্ন করা অফিসারদের সম্মানসূচক তরবারি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তুলে দেন বিমান বাহিনী প্রধান। মনোজ্ঞ ফ্লাইং পাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে সম্মান জানায় নবীন বিমান কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে সবসময় মনোযোগী আওয়ামী লীগ সরকার। যেহেতু ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। সেক্ষেত্রে প্রযুক্তিভিত্তিক বাহিনী গড়ার দিকেও দৃষ্টি দিচ্ছি।
বিমান বাহিনীতে সদ্য সংযুক্ত নতুন ক্যাডেটদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশ সেবায় নিয়োজিত হওয়ার আহ্বান জানান সরকার প্রধান। তিনি বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের চর্চা বাড়াতে পারলে নতুন সক্ষমতার পথে হাঁটবে বাংলাদেশ। উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য করোনাকালে বিমান বাহিনী নতুন দৃষ্টান্ত গড়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।