নোয়াখালীর জেলার চাটখিল উপজেলার চাটখিল দক্ষিন বাজার হইতে খিলপাড়া বাজার টেম্পু স্ট্যান্ড পর্য্যন্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ বেগের নামে সড়কের নামকরণ করা হয়। চাটখিল-খিলপাড়া সড়কে ৭ কিঃমি সড়কটি এখন থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ বেগ সড়ক নামে পরিচিত হবে।
৬ এপ্রিল ২০২১ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ গোলাম জিলানী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান প্রদানের ধারাবাহিকতায় আগামী প্রজন্মের নিকট মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে চাটখিল-খিলপাড়া সড়কটির ৭ কিঃমি অংশ বীর মুক্তিযােদ্ধা মোঃ আশরাফ বেগ সড়ক হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে।
নোয়াখালীর চাটখির উপজেলার ছোট জীবনগর গ্রামের কৃতিসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ বেগ। ১৯৪৯ সালে খীলপাড়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। কলেজে অধ্যয়নকালীন সময় থেকে পূর্ব পাকিস্থানের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে পাকিস্থানী শাসকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে খীলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যট্টিকুলেশন ও ১৯৭০ সালে চৌমুহানি সরকারি কলেজ থেকে গ্র্যজুয়েশন সম্পন্ন করেন।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ মাতৃকার টানে নোয়াখালীতে অসহযোগ আন্দোলন ও পরবর্তিতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বিএলএফের সদস্য হিসেবে তিনি ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমি দেরাদুনের টেন্ডুয়া আর্মি ক্যাম্পে জেনারেল ওবানের সহযেগিতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হোন। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীনের পর কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন ডিপার্টমেন্টে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তিতে তিনি ব্যবশা-বানিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ২০০৯ সালে ঢাকাস্থ চাটখিল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ফোরামের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। চাটখিল উপজেলায় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। বড় ছেলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপসচিব হিসেবে কর্মরত।