স্টাফ রিপোর্টার : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা এটা কী কেবল পাকিস্তানের পরিকল্পনা ছিল, আলবদর, আলশামস তাদের পরিকল্পনা ছিল নাকি এ পরিকল্পনায় অন্য কেউ যুক্ত ছিল। সেটা আজ গবেষণার বিষয়বস্তু। বুদ্ধিজীবী হত্যার সেই নীলনকশা এখনও শেষ হয়নি। এখন অবশ্য কারণটা ভিন্ন। ব্যবসায়িক কারণ, তারচেয়ে বড় কথা হলো মানুষ স্বাধীনচেতা হলে জাগরিত হয়, প্রশ্ন করতে শেখে। আজ আমরা যেন সেই প্রশ্ন করার অধিকারটা না পাই, মানুষ যেন প্রশ্ন না করে সেজন্যই সেই নীলনকশা অব্যাহত আছে। পদ্ধতিটা একটু ভিন্ন আরকি!
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস : বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনায় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ভাস্কর্য ভাঙা প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এখন এক ব্যক্তির ভাস্কর্য ভাঙাটাই যেন অপরাধ, অন্য ভাস্কর্য ভাঙা যেন অপরাধ নয়। আমি বলবো, প্রত্যেকটা ভাস্কর্য ভাঙাই অপরাধ।
সভার প্রধান অতিথি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আসুন সময় হয়েছে এ মুহূর্তে আজকে বাংলাদেশে গণবিপ্লব ঘটিয়ে অবৈধ সরকারকে বৈধভাবে দেশ থেকে বিতাড়িত করি। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের কথা হলো- মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিন। আমরা ভোটের অধিকার চাই, আমরা কথা বলার অধিকার চাই, আমরা নিজেদের মতো করে আমাদের ভবিষ্যৎ গড়বো। আমাদের অবস্থান পরিবর্তন করবো।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া, সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক, আইনজীবী এবিএম রফিকুল হক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ প্রমুখ।