বৃহত্তর চট্টগ্রামকে পর্যায়ক্রমে সড়ক নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার দুপুরে বৃহত্তর চট্টগ্রাম জোনের অধীনে ৬টি জেলা সড়ক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের যে সকল প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে তার সবগুলোর কাজ শেষ হলে বদলে যাবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম, বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি। চট্টগ্রাম-কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটন ঘিরে দেশের যে সমৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধির ধারা তা আরও বেগবান হবে।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রশস্তকরণের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে। জোয়ারগঞ্জ থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আরেকটি মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও চলমান রয়েছে।
কক্সবাজার লিংক রোড-লাবণী পয়েন্ট চার লেনের কাজ শেষ পর্যায়ে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন পর্যটন মওসুমের আগেই এ মহাসড়ক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
আগামী বছর দেশের চারটি মেগা প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাহস ও সক্ষমতার প্রতীক পদ্মাসেতুতে আজ কার্পেটিং শুরু হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, ইতোমধ্যেই ৭৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
দেশের সকল জাতীয় মহাসড়ক পর্যায়ক্রমে ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা দুটি লেনসহ চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের মহাসড়ক উন্নয়নের পাশাপাশি এখন নজর দেওয়া হয়েছে জেলা সড়ক উন্নয়নে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে উন্নয়ন প্রয়াস, তা দেশবাসীর কল্যাণে নিবেদিত। ২০২২ সালের মধ্যে দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা উন্নয়ন ও নির্বাচন বিমুখ এবং আন্দোলন-নির্বাচনে ব্যর্থ তারা সরকারের অন্ধ সমালোচনাকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিয়েছে। অনিয়ম আর দুর্নীতি ছাড়া ক্ষমতায় থাকাকালে তারা কিছু উপহার দিতে পারেনি, অথচ আজ তারা বড় বড় কথা বলে।
আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা ক্ষমতাকে জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু নয়, ত্যাগের বাহন হিসেবে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহীদের উস্কানি না দিতে দলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবার তালিকা তৈরি হচ্ছে, সময়মত কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে সংসদ সদস্যগণ ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী যুক্ত ছিলেন।