রাষ্ট্রায়ত্ত ৫টি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রংপুরের রাশেদ আহমেদ বাবলু (৩৬) ও রাজশাহীর মবিন উদ্দিন (৩২)।
ডিবির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (তেজগাঁও) শাহাদাত হোসেন জানান, এর আগে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া মিজানুর রহমান মিজান যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সেখানে তাদের নাম আসার পর বুধবার রাজধানীর চামেলীবাগ ও বিজয়নগর এলাকা থেকে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি, যাদের মধ্যে ৮ জন ঢাকার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে নিয়োগ পরীক্ষার সময়, মিজান তার আত্মীয় রাশেদ আহমেদ বাবলুর কাছ থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে এবং সেগুলো রংপুর আদালতের স্টেনোটাইপিস্ট জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ ও রংপুরের পেশাজীবী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবিকে দেয়। গত ১৩ ডিসেম্বর রবিউল ইসলাম রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
মিজান জানিয়েছেন, তিনি ও বাবলু ৩৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের প্রশ্নপত্র নিয়ে সমঝোতায় আসেন।
মিজান জাহিদকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকায় সেগুলো বিক্রির প্রস্তাব দেন। এরপর জাহিদ সোহেল নামে আরেক আসামিকে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকায় প্রশ্নপত্র লেনদেনের প্রস্তাব দেয়।
তিনি মিজানকে ২০ লাখ টাকা অগ্রিম দেন, যার মধ্যে মিজান বাবলুকে ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন।
গত ৫ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে বাবলু একটি মেসেঞ্জার অ্যাপের মাধ্যমে মিজানের কাছে প্রশ্নগুলো পাঠান, তারপর মিজান সেগুলো জাহিদের কাছে পাঠিয়ে দেন।
মিজান বাবলুর কাছে তার সোর্স সম্পর্কে জানতে চাইলে বাবলু নিজের সহযোগী হিসেবে মবিনের নাম উল্লেখ করে।
গত ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে রাষ্ট্রায়ত্ত ৫টি সরকারি ব্যাংকের ‘অফিসার ক্যাশ’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় পরীক্ষা বাতিল করে বাংলাদেশ ব্যাংক।