মার্কিন পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের মানসিক বিপর্যয়ের পর এক যুগ পেরিয়ে গেছে। ব্রিটনির ব্যবসা ও ব্যক্তিগত সবকিছু তার বাবার তত্ত্বাবধানে থাকলেও বাবার বিরুদ্ধে বারবার অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন গায়িকা।
সম্প্রতি ব্রিটনি স্পিয়ার্স তার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেন, তিনি তার জীবনে সবচেয়ে সুখে আছেন এখন। তিনি বলেন, আমি জানি অনেক মানুষ অনেক মন্তব্য করবেন, আমার সম্পর্কে অনেককিছু বলবেন। কিন্তু আমি এতটুকুই আপনাদের বলতে চাই যে, আমি ভালো আছি। তবে ব্রিটনির বক্তব্যে সন্দেহ প্রকাশ করছেন অধিকাংশ ভক্ত-অনুরাগী। তাকে দেখে মোটেও সুখী মনে হচ্ছে না, তাকে মারধর করা হয়েছে, তাকে দিয়ে জোরপূর্বক এ ভিডিও বানানো হয়েছে, তার চেহারাই বলে দিচ্ছে সে ভালো নেই – এমনই অনেক মন্তব্য করছেন তার অনুরাগীরা।
ব্রিটনির ভক্তরা হ্যাশট্যাগে ‘ফ্রিব্রিটনি’ প্রচার চালাচ্ছেন। আদালতের দেয়া তত্ত্বাবধায়কের নির্দেশনা স্থগিত করার জন্য চেষ্টা করছেন তারা। তাদের বিশ্বাস, ‘উইম্যানাইজার’খ্যাত গায়িকাকে লস অ্যাঞ্জেলসের বাড়িতে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সামাজিকমাধ্যমে তার পোস্টগুলো রহস্যপূর্ণ। নাচের ভিডিও ও সেলফি শেয়ার করে ইঙ্গিতে তার মুক্তির জন্যই আহ্বান জানাচ্ছেন গায়িকা। আবার একই ছবি বারবার শেয়ার করার ব্যাপারটাকেও উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন ভক্তরা।
বছর দুয়েক আগে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার পর কিছুকালের জন্য নিজেকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। তবে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর তাকে আর পারফর্ম করতে দেখা যায়নি। ২০০৭ সালে স্বামী কেভিন ফেডারলাইনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ব্রিটনি। তখন তার দুই সন্তানকেও তার থেকে সরিয়ে নেওয়ায় আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি।
ব্রিটনির মানসিক অসুস্থতার কারণে ১২ বছর তাকে দেখভালের জন্য আইনি তত্বাবধায়ক হিসেবে নিযুক্ত হন তার বাবা জেমি স্পিয়ার্স। কিন্তু ব্রিটনি অভিযোগ করেন, তাকে মানসিক রোগী সাজিয়ে বাবা তার অর্থসম্পদ হস্তগত করেছেন। তাই আর বাবার শাসনে থাকতে চান না বলে জানান তিনি। বরং বিসেমার ট্রাস্ট কোম্পানিকে তার দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হোক বলে আদালতে দাবি করেন গ্রামিজয়ী গায়িকা।