মহামারি করোনাভাইরাসের ঊর্ধ সংক্রমণ ও মৃত্যুতে নাজেহাল ভারত। চলমান এই পরিস্থিতিতে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসুস। তার মতে, ভারতের রেকর্ড সংক্রমণ হৃদয়বিদারকের চেয়েও বেশি কিছু।
আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, এই সঙ্কট মোকাবিলায় ভারতের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ডব্লিউএইচও
টেড্রোস বলেন, ‘জরুরি সরঞ্জাম সরবরাহের মাধ্যমে ডব্লিউএইচও তার সবটুকু করছে।’ অন্যান্য সহায়তার পাশাপাশি হাজার হাজার অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর পাঠাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জানান তিনি।
ডব্লিউএইচও জানায়, ইতোমধ্যে তারা ভারতে বিভিন্ন প্রোগ্রামের কর্মরত ২ হাজার ৬০০ জন বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছে।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ভারতীয় হাসপাতালগুলো করোনা রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। দেখা দিয়েছে তীব্র অক্সিজেন সঙ্কট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে রোগীদের স্বজনরা হাসপাতালের বেড এবং অক্সিজেনের সহায়তা চেয়ে মর্মস্পর্শী পোস্ট দিচ্ছেন। এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আরও এক সপ্তাহ লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে রাজধানী দিল্লি।
এদিকে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় তিন লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষের দেহে মহামারি করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ নিয়ে টানা ষষ্ঠ দিন দেশটি তিন লাখের বেশি সংক্রমণের সাক্ষী হলো। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
জানা যায়, এর আগের দিনের তুলনায় গতকালের সংক্রমণ ৮ দশমিক ৪ শতাংশ কম। এসময় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৭৭১ জনের। যা আগেরদিনের ২ হাজার ৮৯১ থেকে কম।
ভারতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৬ লাখের বেশি মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯৪ জনের।