দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে ভারতে এখন পর্যন্ত ২১৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে সবেচেয়ে বেশি সংখ্যক শনাক্ত হয়েছে। ওমিক্রন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদি।
দিল্লিতে ৫৭ ও মহারাষ্ট্রে ৫৪ জন শনাক্ত হওয়া বাদেও ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়ে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশের সর্বশেষ সংখ্যা যা দাঁড়াল- তেলেঙ্গানায় ২৪, কর্ণাটকে ১৯, রাজস্থানে ১৮, কেরালায় ১৫ ও গুজরাটে ১৪ জন। খবর এনডিটিভির।
এছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরে তিন জন, ওড়িশা এবং উত্তরপ্রদেশে দুই জন করে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। আর অন্ধ্রপ্রদেশ, চন্দ্রিগড়, লাদাখ, তামিল নাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গে একজন করে শনাক্ত হয়েছে।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির ইঙ্গিতে ওমিক্রন মোকাবিলায় দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রদেশগুলোকে ‘নিয়ন্ত্রণ কক্ষ’ স্থাপন এবং রাত্রিকালীন কারফিউসহ পুনরায় বিধিনিষেধ আরোপের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওমিক্রন প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের বেশকয়েকটি তালিকাও করেছে কেন্দ্র। এর মধ্যে রয়েছে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়ানো এবং জমায়েতে বিধি আরোপ করা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে অবস্থা ভয়াবহতার দিকে পৌঁছানোর আগেই ওমিক্রন নিয়ন্ত্রণে রাখার অংশ হিসেবে রাজ্যগুলোকে ‘বৃহত্তর দূরদর্শিতা, তথ্য বিশ্লেষণ, গতিশীল সিদ্ধান্তসহ নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া চিঠিতে দেশের বিভিন্ন অংশে এখনো ডেল্টার ‘উপস্থিতি’ রয়েছে বলে বলা হয়েছে।
বুধবার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নতুন ছয় হাজার ৩১৭ সংক্রমণ নিয়ে ভারতে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৪৭ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮২ জন। মঙ্গলবারের শনাক্তের চেয়ে যা ১৮ শতাংশ বেশি। গতকাল শনাক্ত হয়েছিল পাঁচ হাজার ৩২৬ জনের। দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজার ১৯০ জনে। যা ৫৭৫ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১৮ জন মারা গেছেন। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল চার লাখ ৭৮ হাজার ৩২৫ জনে।