গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের দায়ে অভিযোগের মুখে পালিয়ে ভারতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, মামলা তদন্তাধীন।’
সোহেল রানা গত বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) থেকে তিনি বনানী থানায় অনুপস্থিত। কাউকে কিছু না জানিয়েই তিনি থানায় অনুপস্থিত হন। ওই দিন ঢাকার একটি আদালতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে এক ভুক্তোভোগীর করা মামলায় তাকেও আসামি করা হয়। এরপরই তিনি পালিয়ে যান। ৪ সেপ্টেম্বর তিনি ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-র হাতে গ্রেফতার হন। তিনি ভারতের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন। নানা অভিযোগে অবশেষে ডিএমপি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিলো।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সোহেল রানার থানায় অনুপস্থিতির বিষয়টি ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সকে জানাই। রিপোর্ট করা হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন।
গত ১৭ আগস্ট অগ্রিম অর্থ পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেন ‘প্রতারণার শিকার’ গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম। ওই সময় তার সঙ্গে ‘প্রতারণার শিকার’ আরও ৩৭ জন উপস্থিত ছিলেন। গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই মামলা হয়। আসামিরা হলেন ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন,
তার স্বামী মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ এবং পুলিশের বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা।
শুরু থেকেই ই-অরেঞ্জের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন পরিদর্শক সোহেল রানা। তবে অরেঞ্জ বাংলাদেশ নামে প্রতিষ্ঠান খুলতে নেওয়া টিআইএন সনদে পরিচালক হিসেবে তার নাম দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিভিন্ন সময়ে আড়াই কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।